ফরিদপুরের সালথার মীরকান্দি গ্রামের ভ্যানচালক লাভলু ফকিরকে (৪০) হত্যা করে তার ভ্যানগাড়ি ছিনতাইয়ে জড়িত পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। একইসাথে ছিনতাই হওয়া ভ্যানগাড়িটির কিছু যন্ত্রাংশও উদ্ধার করা হয়েছে। ওই হত্যার পাঁচ দিনের মধ্যেই এ রহস্য উম্মোচন করলো সালথা থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার দুপুরে ফরিদপুরের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো: তরিকুল ইসলাম। সোমবার দিবাগত রাত পর্যন্ত বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয় বলে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানায়।
আটকরা হলেন, মীরকান্দি গ্রামের মৃত মোফাজ্জল ফকিরের ছেলে হাতেম ফকির (৩২), একই গ্রামের সাবেক মেম্বর ভুট্ট মাতুব্বরের ছেলে সোহাগ মাতুব্বর (২২), কুদ্দুস মীরের ছেলে মিলন মীর (২৫), দক্ষিণ আটঘর গ্রামের মৃত তাজু গাজীর ছেলে ওহিদ গাজী (৩২) ও বোয়ালমারীর সুগন্ধি গ্রামের আকুব্বর খানের ছেলে আজিজুল খান (২৬)।
পুলিশ কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম জানান, ৯ আগস্ট রাতে সালথার মীরকান্দি গ্রামের হোসেন ফকিরের ছেলে লাভলুকে খুন করে তার ভ্যানগাড়িটি নিয়ে পালিয়ে যায় খুনিরা। পরদিন সকালে তার লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী হনুফা বেগম থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরো জানান, পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ডাঙ্গীরপাড় পাকা রাস্তার ওপর লাভলু ফকিরের কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা ও ভ্যানটি কেড়ে নেয় আসামিরা। এরপর তাকে হত্যা করে লাশ পাশের মিল মাঠের ডোবায় ফেলে রেখে যায়।
মো: তরিকুল তরিকুল ইসলাম বলেন, আটক আসামিরা পুলিশের হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। লুট করা টাকা তারা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয় ও ভ্যান গাড়িটির বিভিন্ন অংশ খুলে আলাদা করে লুকিয়ে রাখে। গ্রেফতারের পর আসামিদের দেয়া তথ্যমতে, ভ্যান গাড়িটির অংশবিশেষ উদ্ধার করা হয়।
সালথা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: আসিকুজ্জামান বলেন, মাত্র পাঁচ দিনে এ ধরনের একটি ক্লুলেস হত্যার রহস্য উদঘাটন ও হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান বাংলাদেশ পুলিশে বিরল ঘটনা।
এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নগরকান্দা-সালথা) মো: সুমিনূর রহমান, ওসি (ডিবি) সুনিল কর্মকার, সালথা থানার ওসি মো: আশিকুজ্জামান, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো: মিজানুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।