ডেইলি মেইল শিরোনাম করেছে ‘দি লাকি ওয়ানস।’ মার্কিন নাগরিকদের আফগানিস্তান থেকে সরিয়ে নিতে দেশটির বিমান বাহিনীর পরিবহন বিমান নেমেছিল কাবুল বিমানবন্দরে। কিন্তু তাতে ৬৪০ আফগান চড়ে বসে। সোমবার দিনভর কাবুল বিমানবন্দরে আফগানদের হাহাকারের মধ্যে ওই শিরোনামকেই যুৎসই মনে করেছে ডেইলি মেইল।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, মার্কিন পরিবহন বিমানে বোঝাই হওয়া শত শত আতঙ্কগ্রস্ত আফগান উদ্বাস্তুর প্রথম ছবিগুলো আসতে শুরু করেছে। রাজধানী কাবুলসহ প্রায় পুরো আফগানিস্তান তালেবানের নিয়ন্ত্রণে চলে আসার প্রেক্ষাপটে এসব আফগান পালাতে চাচ্ছে।
এতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র এখন পর্যন্ত কাবুল থেকে অন্তত দুটি সি-১৭ পরিবহন বিমান উড়াতে পেরেছে। সোমবার রাত ও চলতি সপ্তাহের বাকি সময়ে আরো বিমান লোকজনকে পরিবহন করবে।
রোববার প্রথম মার্কিন বিমান বাহিনীর একটি সি-১৭ কাবুল থেকে যাত্রী নিয়ে কাতার যায়। বিমানটির নম্বর ছিল আরসিএইচ ৮৭১।
বিমানটি উড্ডয়নের প্রস্তুতি নেয়ার সময় আতঙ্কগ্রস্ত শত শত আফগান নাগরিক দৌড়ে যায় বিমানের দিকে। তারপর তারা র্যাম্পে ওঠে বিমানের ভেতরে প্রবেশ করে।
ডিফেন্স ওয়ানের হাতে আসা একটি ছবিতে বিমানে কী ঘটেছিল, তা কিছুটা বোঝা যাচ্ছে। ওই বিমানে ১৫০ জন সৈন্য ও এক লাখ ৭১ হাজার পাউন্ড মালামাল আনায়াসে পরিবহন করা যায়।
কিন্তু তাকে চড়ে বসে কয়েকগুণ বেশি লোক।
শুরুতে একজন এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার অডিওতে জানান, বিমানে ৮০০ আরোহী আছেন। কিন্তু পরে দেখা যায়, তাদের সংখ্যা ৬৪০।
উদ্বাস্তুরা, তাদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে, দৌড়ে অর্ধেক খোলা র্যাম্পে ঢুকে পড়ে। তারপর তারা বিমানের ভেতরে প্রবেশ করে। তাদের নামানো অসম্ভব দেখে বিমানের ক্রু রওনা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা বলেন, বিমানটি যখন তার গন্তব্যে অবতরণ করে, তখন আরোহী ছিল ৬৪০ জন আফগান বেসামরিক নাগরিক।
কাবুল বিমানবন্দরে গুলিবর্ষণ, পদদলিত ও অন্যান্য বিশৃঙ্খলায় সোমবার বিকেল পর্যন্ত অন্তত আটজন নিহত হয়েছে। বিমানবন্দরটি এখনো মার্কিন বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।