গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামির মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সকাল ৯টার দিকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত লিয়াকত আলী (৭২)ময়মনসিংহের তারাকান্দা থানার রামচন্দ্রপুর এলাকার জমির শেখের ছেলে। ময়মনসিংহে একটি হত্যা মামলায় তিনি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন।
কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার গিয়াসউদ্দিন জানান, শনিবার সকালে কারাগারের ভেতর লিয়াকত আলী অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ সময় তাকে প্রথমে কারা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। একপর্যায়ে তাকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে সেখানে সকাল ৯টার দিকে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে লিয়াকত আলীকে মৃত ঘোষণা করেন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ নিহতের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
ময়মনসিংহের তারাকান্দা থানায় একটি হত্যা মামলায় ২০১৯ সালে ২০ মার্চ আদালত লিয়াকত আলীকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয়। এরপর তিনি ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন। পরে ২০১৯ সালে ৬ মে তাকে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। তখন থেকেই তিনি এ কারাগারে বন্দি ছিলেন।
এর আগে গত ৪ আগস্ট গাজীপুর জেলা কারাগারে আব্দুর রহিম নামে এক হাজতির মৃত্যু হয়। হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আব্দুর রহিমের বাড়ি গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার ডালেশ্বর। চুরি ও মারামারির মামলায় গাজীপুর জেলা কারাগারে বন্দি ছিলেন তিনি।
জিএমপির সদর থানার এসআই সাইফুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, ৪ আগস্ট সকালে কারাগারের ভেতর তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে কারা কর্তৃপক্ষ তাকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক আব্দুর রহিমকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে মরদেহের ময়নাতদন্ত করাতে নেয়া হয় হাসপাতাল মর্গে। ময়নাতদন্ত ও আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ তার পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।