জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, লাতিন আমেরিকার দেশগুলোতে সামরিক হস্তক্ষেপের দিন বহু আগেই শেষ হয়ে গেছে। তিনি আশা করেন, ভেনিজুয়েলায় কোনো বিদেশি শক্তি প্রবেশ করবে না। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনিজুয়েলায় সামরিক অভিযান চালানোর হুমকি দেয়ার পর গুতেরেস এসব কথা বললেন।
এদিকে রাশিয়ার উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ বলেছেন, ভেনিজুয়েলার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা হলে ‘জঘন্য দৃশ্যপট’ তৈরি হবে। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, এ ধরনের হস্তক্ষেপ ভয়াবহ পরিণতি বয়ে আনবে।
রিয়াবকভ বলেন, ‘ভেনিজুয়েলা ইস্যুতে যে সমস্ত তথ্য পাচ্ছি যাচ্ছে তাতে আমরা খুবই চিন্তিত। এ সম্পর্কে মস্কো আগে খুব বেশি মনযোগ দেয় নি কিন্তু যখন মেক্সিকো ও উরুগুয়ে আলোচনার উদ্যোগ নিয়েছে তখন বিষয়টিতে গুরুত্ব দিচ্ছে।’
উরুগুয়ের রাজধানী মন্টেভিডিওতে ভেনিজুয়েলা সংক্রান্ত কন্টাক্ট গ্রুপ বৈঠক করেছে। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, কন্টাক্ট গ্রুপের বৈঠক নিয়ে এখনই বেশি কিছু বলা ঠিক হবে না। তবে যদি এ বৈঠকের ফলাফল এমন হয় যে যার কারণে ভেনিজুয়েলার বৈধ সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি হয়, তাহলে তা হবে খুবই দুঃখজনক কারণ এটি আরেকটি নেতিবাচক কিছু ডেকে আনবে।
সের্গেই রিয়াবকভ বলেন, ভেনিজুয়েলা ইস্যুতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কারাকাস ও মানবিক সংগঠনগুলোর সঙ্গে রাশিয়া ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রেখে চলেছে।
ভেনিজুয়েলার সংকটে মার্কিন সরকার সামরিক অভিযান চালাতে চাইলেও লাতিন আমেরিকার দেশগুলো সংলাপের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে ইচ্ছুক। ইউরোপীয় ইউনিয়ন নতুন নির্বাচন দেয়ার জন্য ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে
আর ভেনিজুয়েলার সাম্প্রতিক প্রতিবাদ কর্মসূচির কথা উল্লেখ করে জাতিসংঘ মহাসচিব মার্কিন সরকার পরিচালিত প্রচার মাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমি খুবই আশাবাদী হয়েছি যে, গত শনিবার কোনো সহিংসতা ছাড়াই বিক্ষোভ-কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের জোরালো আবেদন হচ্ছে সব ধরনের সহিংসতা পরিহার করতে হবে। সহিংসতা কোনো পক্ষেরই স্বার্থ সংরক্ষণ করে না’- বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ভেনিজুয়েলায় রাজনৈতিক সংকট গভীর হয়েছে। বিরোধীদলগুলো সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছে। তারা প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর শাসন ক্ষমতার অবসান চায়