আগামী এপ্রিল মাসের শেষ নাগাদ আফগানিস্তানে মোতায়েন থাকা মার্কিন সেনাদের অর্ধেক অংশকে প্রত্যাহার করে নেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির তালেবান বিদ্রোহীদের সাথে বৈঠকে ওয়াশিংটন এমন অঙ্গীকারই করেছে বলে বুধবার জানিয়েছেন একজন শীর্ষ তালেবান নেতা। তবে মার্কিন সেনাবাহিনীর তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়নি।
শীর্ষস্থানীয় তালেবান নেতা ও আলোচক আব্দুস সালাম হানাফি। মস্কোতে তালেবানের সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য পক্ষের আলোচনা চলাকালীন অবসর সময়ে তিনি বলেন, বৈঠকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা অঙ্গীকার করেছেন যে, চলতি মাসেই আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার শুরু হবে।
আব্দুস সালাম হানাফি সাংবাদিকদের বলেন,‘চলতি ফেব্রুয়ারী মাসের শুরু থেকে এপ্রিল মাসের শেষ নাগাদ আফগানিস্তানে মোতায়েন থাকা সেনাদের মধ্যে অর্ধেক মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করা হবে বলে আমেরিকান কর্মকর্তারা আমাদের জানিয়েছেন।’
কিন্তু পেন্টাগনের মুখপাত্র কর্ণেল রব ম্যানিং জানিয়েছেন, আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে মার্কিন সেনাবাহিনী এখনো কোনো আদেশ পায়নি। ম্যানিং বলেন,‘তালেবানের সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শান্তি আলোচনা চলছে। কিন্তু আফগান্স্তিানে মার্কিন সেনা সংখ্যা কমিয়ে আনা বা পরিবর্তনের বিষয়ে প্রতিরক্ষা দফতর এখনো কোনো আদেশ পায়নি।’
এদিকে ফেব্রুয়ারী মাস থেকে তাৎক্ষণিকভাবে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টি অস্বীকার করেন কাবুলে অবস্থানরত মার্কিন সেনাবাহিনীর একজন নারী মুখপাত্র।
তাছাড়া মস্কো আলোচনায় তালেবান প্রতিনিধি দলের প্রধান মোহাম্মদ আব্বাস স্তানিকজাইও আমেরিকান সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে হানাফির বক্তব্যের সাথে মিল রেখে কথা বলেননি। আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে এখনো কোনো তারিখ নির্দিষ্ট করা হয়নি বলে জানান তিনি।
পরে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় হানাফি বলেন, সকল বিদেশী সৈন্যের আফগানিস্তান ত্যাগ করা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যেকোনো ধরনের হামলার উদ্দেশ্যে ঘাঁটি হিসেবে আফগান মাটি ব্যবহৃত না হওয়ার বিষয়ে ওয়াশিংটন ও তালেবান একমত হয়েছে।