আমি ইয়াবা-মদের সঙ্গে জড়িত নই: আদালতে মডেল মৌ

বনানীর রেইনট্রিতে ধর্ষণকাণ্ড ও গুলশানের মুনিয়া আত্মহত্যাকাণ্ডে আলোচনায় আসা ফারিয়া মাহাবুব পিয়াসার সহযোগী আরেক মডেল মরিয়ম আক্তার মৌর বিরুদ্ধে মাদকের মামলায় ফের ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

এদিন আদালতে রিমান্ড আবেদন চলাকালে একপর্যায়ে মডেল মৌ বিচারকের উদ্দেশে বলেন, ‘আমি মদ ও ইয়াবা খাই না। এসব মদ-ইয়াবার সঙ্গে আমি জড়িত নই। আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। দয়া করে আমাকে রিমান্ডে দিয়েন না। রিমান্ড নামঞ্জুর করা হোক।’

এর আগে রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আবু বলেন, ‘আসামি মডেল মৌ নিজের বাসায় তরুণ-তরুণীদের নিয়ে মদের আসর জমাতেন। এ ঘটনার সঙ্গে আর কারা বা কে জড়িত আছে তাদের খুঁজে বের করতে এবং মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে এই আসামিকে রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন।’

এরপর আসামি পক্ষের আইনজীবী আব্দুল বাতেন বলেন, ‘আসামি মাদকের সঙ্গে জড়িত নয়। তিনি কোনও মডেল নন। মিডিয়াই তাকে মডেল বানিয়েছে। তিনি একজন নৃত্যশিল্পী। যে বাড়ি থেকে মাদক উদ্ধার করা হয়েছে, এটা তার শ্বশুরের বাড়ি ছিল। তার শ্বশুরের চার ছেলে ওই বাড়িতেই থাকেন। আর আসামি তার পরিবার-পরিজন নিয়ে ওই বাড়িতে বসবাস করেন। শ্বশুরবাড়িতে কীভাবে মদের আসর বসাবেন তিনি? তাই আমরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করছি।’

এরপর উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত শিকদারের আদালত আসামির ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে ১ আগস্ট রাতে মোহাম্মদপুরের বাসায় অভিযান চালিয়ে আলোচিত ফারিয়া মাহাবুব পিয়াসা ও মরিয়ম আক্তার মৌকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। মিরপুর রোড সংলগ্ন ২২/৯ বাবর রোডের ওই বাসার নিচতলায় থাকতেন মৌ।

পুলিশ জানায়, মৌ’র বাসার ভেতরে ড্রয়িং রুমের পাশেই একটি মিনি বার দেখা গেছে। বাসার ভেতরের বেডরুমের একটি ড্রয়ার থেকে পাঁচ প্যাকেট ট্যাবলেট উদ্ধার করেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। এছাড়া ওই বেডরুমের ভেতরে আরেকটি ড্রেসিং রুম থেকে অন্তত এক ডজন বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় মাদকদ্রব্য আইনে একটি মামলা করা হয়েছে।

Share this post

scroll to top