রাজধানীর বনানীর রেইনট্রিতে ধর্ষণকাণ্ড ও গুলশানের মুনিয়া আত্মহত্যাকাণ্ডে আলোচনায় আসা সেই ফারিয়া মাহাবুব পিয়াসার বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলায় ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শুক্রবার (৭ আগস্ট) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালতে রিমান্ড শুনানির সময় বিচারকের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে মডেল পিয়াসা বলেন, আমার বাবা ব্যারিস্টারিতে পড়াশোনা করেছেন। আমি নিজেও ২০২১ সাল পর্যন্ত চাকরি করেছি। এশিয়ান টিভিতে চাকরি করেছি। আমি মাদকের সঙ্গে জড়িত নই। জিসান ও মিশু আমার ভালো বন্ধু ছিল। জিসানের স্ত্রীর সাথে আমার আরও ভালো বন্ধুত্ব। তাদের ব্যবসার সাথে আমার কোনও যোগাযোগ নেই, আমরা শুধু ভালো বন্ধু।
বিচারকের কাছে মডেল পিয়াসা আরও বলেন, একটি বিষয় বলে রাখি। আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলের সঙ্গে আমার বিয়ে হয়েছিল। আমি বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে বিভিন্ন বক্তব্য দিয়েছি। তারপর থেকেই আমাকে বিভিন্ন হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে। হঠাৎ করে একদিন রাতে আমার বাসায় ডিবি পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে। পরে বলা হয়, আমার বাসায় নাকি ইয়াবা পাওয়া গেছে। আমি ইয়াবার সঙ্গে জড়িত নই। এটা একটা চক্রান্ত। আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে।
এর আগে এদিন গুলশান থানার মাদকের মামলায় তিন দিনের রিমান্ড শেষে আসামি পিয়াসাকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর খিলক্ষেত থানার মাদকের মামলায় ৭ দিন, ভাটারা থানার মাদক মামলায় ১০ দিন ও গুলশান থানার মাদক মামলায় ৭ দিন, মোট তিন মামলায় ২৪ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। অন্যদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিলের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত খিলক্ষেত থানার মামলায় ৩ দিন, ভাটারা থানার মামলায় ৩ দিন ও গুলশান থানার মামলায় ২ দিন; তিন মামলায় মোট ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
সোমবার (২ আগস্ট) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলামের আদালত গুলশানের মাদক মামলায় তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে ব্ল্যাকমেইল করে অর্থ আদায়ের অভিযোগে রবিবার (১ আগস্ট) রাতে বারিধারা থেকে তাকে আটক করা হয়। এ সময় তার ঘরের টেবিল থেকে চার প্যাকেট ইয়াবা জব্দ করে ডিবি। তার রান্নাঘরের ক্যাবিনেট থেকে ৯ বোতল বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়। ফ্রিজে পাওয়া যায় সিসা তৈরির কাঁচামাল।