আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বাংলাদেশে যারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করবে তাদের আইনের আওতায় এনে বিচার করা হবে।
তিনি বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের ব্যাপারে সরকারের অবস্থান পরিষ্কার। যারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করবে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। বাংলাদেশে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের অন্যতম লক্ষ্য।
আইনমন্ত্রী বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে জাতিসঙ্ঘের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
বৈঠকে জাতিসঙ্ঘ সিনিয়র মানবাধিকারবিষয়ক উপদেষ্টা হেইকা আলেফসেন ও সোকো ইসাইকাওয়াসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘মানবাধিকার নিয়ে আমরা আমাদের অভিমত ও কমিটমেন্ট ব্যক্ত করেছি। আমি বলেছি, শেখ হাসিনার সরকার বিশ্বাস করে বাংলাদেশে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা সরকারের অন্যতম লক্ষ্য এবং এটা সরকার সব সময় করে যাচ্ছে। যার কারণে আজকে মানবাধিকার পরিস্থিতি অনেক উন্নত।’
জাহালমের তিন বছর জেল খাটায় ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) শিগগিরই ‘সিরিয়াস’ পদক্ষেপ নেবে এমন আশা প্রকাশ করে আনিসুল হক বলেন, ‘জাহালমের ব্যাপারে যেটা হয়েছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমি এটার তীব্র নিন্দা জানাই। আমি মনে করি যে, দুর্নীতি দমন কমিশন এ রকম একটা ঘটনার ব্যাপারে অবহিত হয়েছে, তারা এ ব্যাপারে দ্রুত সিরিয়াস পদক্ষেপ নেবে।’
প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে আইনমন্ত্রী জানান, জাতিসঙ্ঘের যতগুলো সংস্থা রয়েছে সেগুলো এক প্লাটফর্মে থেকে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে চায়।
তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়েও জাতিসঙ্ঘের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলাপ হয়েছে। আমি পরিষ্কারভাবে সরকারের অবস্থান ব্যক্ত করেছি।