ভূমধ্যসাগর থেকে ৯৩ জন অভিবাসন প্রত্যাশীকে উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে। উদ্ধার অভিবাসন প্রত্যাশীদের মধ্যে অনেক আহত ছিলেন।
জার্মানির সি-ওয়াচ নামের একটি এনজিও শুক্রবার এ কথা জানিয়েছে। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
বৃহস্পতিবার রাতে ভূমধ্যসাগরে সি-ওয়াচ থ্রি জাহাজ দুটি নৌকা থেকে ৩৩ জন অভিবাসন প্রত্যাশীকে উদ্ধার করে।
মাল্টার জন্য নির্ধারিত ভূমধ্যসাগরের তল্লাশি ও উদ্ধার জোনে এই দুটি নৌকাকে লিবিয়ার কোস্টগার্ড আটক করেছিল বলে জানিয়েছে এনজিওটি।
উদ্ধার হওয়াদের মধ্যে ৯ জন শিশু ছিল, যাদের কোনো অভিভাবক ছিল না। এর মধ্যে মধ্যে তিন জন বয়সে বেশ ছোট। নৌকায় সাত মাসের গর্ভবতী এক নারীও ছিলেন। উদ্ধার হওয়া সবাই দক্ষিণ সুদান, তিউনিসিয়া, মরক্কো, আইভরি কোস্ট ও মালির বাসিন্দা।
সি-ওয়াচ জানিয়েছে, ভূমধ্যসাগর থেকে উদ্ধার হওয়াদের মধ্যে অনেক আহত ছিলেন। আহতদের কয়েকজন গুরুতর ‘ফুয়েল বার্নের’ শিকার ছিলেন।
পেট্রল সাগরের পানির সঙ্গে মিশে যাওয়ার পর তা কারো শরীরে লাগলে ‘ফুয়েল বার্ন’ হয়। যে ধরনের নৌকাগুলোতে অভিবাসন প্রত্যাশীরা ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেন সেখানে প্রায়ই ক্যান লিক করে বা উল্টে পড়ে পেট্রল নৌকায় থাকা সাগরের পানির সঙ্গে মিশে যায়।
এছাড়া শুক্রবার ভোররাতে লিবিয়ার তল্লাশি ও উদ্ধার জোনে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই একটি কাঠের নৌকা থেকে ৬০ জনেরও বেশি ইউরোপ অভিবাসন প্রত্যাশীকে উদ্ধার করে সি-ওয়াচ থ্রি। এখন থেকে উদ্ধার হওয়াদের বেশিরভাগই লিবিয়ার নাগরিক।
সম্প্রতি আবহাওয়া ভালো থাকায় লিবিয়া ও তিউনিসিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি ও ইউরোপের অন্যান্য অংশের উদ্দেশ্যে ছাড়া অভিবাসন প্রত্যাশীদের নৌকার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।