ময়মনসিংহের ত্রিশালে উপস্থিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) ছাত্র পরামর্শক ও উপদেষ্টা পদের মেয়াদ শেষ হওয়ার তিন মাস পার হলেও পদটিতে কাউকে নিয়োগ দিতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। নিয়োগ আটকে থাকার জন্য শিক্ষকদের গ্রুপিং রাজনীতিকে দায়ী করছেন অনেকেই৷
সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ জানান, শিক্ষকদের তিনটি গ্রুপ পদটিতে চারুকলা বিভাগের ড. তপন কুমার সরকার, ড. সিদ্ধার্থ দে সিধু এবং লোক প্রশাসন ও সরকার পরিচালনা বিদ্যা বিভাগের হাফিজুর রহমানের (আবির) নাম প্রস্তাব করায় বিপাকে পড়েছেন উপাচার্য।
এদিকে শিক্ষক নেতারা বলছেন, একাধিক নাম আসতেই পারে। প্রশাসক হিসেবে যোগ্য একজনকে বেছে নেবেন উপাচার্য। তিনি সেটি না করে শিক্ষকদের দুষছেন।
সাবেক ছাত্র পরামর্শক ড. শেখ সুজন আলী বলেন, ‘এমনিতেই পদটি গুরুত্বপূর্ণ। করোনাকালে তা আরও বেড়েছে। প্রশাসনের উচিত দ্রুত দায়িত্বশীল কাউকে নিয়োগ দেওয়া।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ড. হুমায়ূন কবীর বলেন, ‘ক্ষমতাবলে উপাচার্য নিয়োগ দিতে পারেন। কিন্তু ভিন্ন পরিস্থিতি তৈরির আশঙ্কায় এটি সিন্ডিকেটের ওপর দিয়েছেন। আগামী সভায় এ নিয়ে সিদ্ধান্ত আসবে।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “শিক্ষকরা রাজনৈতিকভাবে বিভক্ত। ছাত্র পরামর্শক পদে তারা পৃথকভাবে তিনজনের নাম দিয়েছেন। সবাই মিলে একটি নাম দিতে বলেছি আমি। গ্রুপিং বাদ দিয়ে একটি নাম দিক, আমরা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবো।”
দ্রুতই ছাত্র পরামর্শক নিয়োগের দাবি তুলে শিক্ষার্থীরা বলছেন, গত তিন মাস ধরে ছাত্র উপদেষ্টা না থাকায় শিক্ষার্থীদের অনেক সমস্যা ঝুলে আছে। নিয়োগ না দিয়ে ভোগান্তির সৃষ্টি করছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।