আফগানিস্তানের চলমান যুদ্ধে বেসামরিক নাগরিকের প্রাণহানি বৃদ্ধি পাওয়ায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘ।
দেশটিতে জাতিসংঘের রাজনৈতিক দপ্তর ইউনামা সোমবার এক প্রতিবেদনে বলেছে, ২০২১ সালের প্রথম ছয় মাসে দেশটিতে বেসামরিক নাগরিকদের হতাহতের সংখ্যা ছিল নজিরবিহীন। খবর আলজাজিরার।
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের প্রথম ছয় মাসে আফগানিস্তানে এক হাজার ৬৫৯ বেসামরিক ব্যক্তি নিহত ও তিন হাজার ২৫৪ জন আহত হয়েছেন।
২০২০ সালের এই সময়ের তুলনায় এ সংখ্যা শতকরা ৪৭ ভাগ বেশি। হতাহতদের প্রায় অর্ধেকই নারী ও শিশু বলে এ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
মে মাসে বিদেশি সেনা প্রত্যাহার শুরু ও তালেবান হামলা বেড়ে যাওয়ার পর থেকে এ প্রাণহানি উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বেড়ে গেছে বলে ইউনামা জানিয়েছে।
জাতিসংঘ সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, আফগানিস্তানের সংঘাত না কমলে ২০০৯ সালের পর বেসামরিক নাগরিকদের সর্বোচ্চ মাত্রার প্রাণহানি ঘটবে। জাতিসংঘ ওই বছর থেকে আফগানিস্তানের বেসামরিক নাগরিকদের প্রাণহানির রেকর্ড রাখতে শুরু করেছিল।
ইউনামার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে— আফগানিস্তানের বেসামরিক নাগরিকদের হতাহতের শতকরা ৩৯ ভাগ ঘটে তালেবানের হাতে, ২৩ ভাগ আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে, শতকরা ১৬ ভাগ অন্য সরকারবিরোধী গোষ্ঠীর হাতে এবং উগ্র জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের হাতে হতাহত হন শতকরা ৯ ভাগ বেসামরিক আফগান নাগরিক।
এ ছাড়া শতকরা ১৩ ভাগ হতাহতের ঘটনা ঘটে সংঘর্ষরত পক্ষগুলোর ক্রসফায়ারের মধ্যে পড়ে।
তবে তালেবান এই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের দাবি, তাদের হাতে কোনো বেসামরিক নাগরিকের প্রাণহানি ঘটে না।
অন্যদিকে আফগান সেনাবাহিনী বলেছে, তারা সবসময় যুদ্ধের আইন মেনে চলে এবং তারা বেসামরিক নাগরিকদের প্রাণহানির জন্য দায়ী নয়।