কঠোর লকডাউনের তৃতীয় দিনেও শিবচরের বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে ফেরিতে থেমে নেই যাত্রী পারাপার। যাত্রীবাহী পরিবহন পারাপার বন্ধ থাকলেও দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে ভেঙে ভেঙে ছোট যানবাহনে ঘাটে আসা যাত্রীরা অনেকটা নির্বিঘ্নেই ফেরিতে উঠতে পারছেন।
ঈদের তৃতীয় দিনে রাজধানীমুখী সাধারণ যাত্রীদের ফেরি পারাপার হতে দেখা গেছে। তবে ফেরিতে যাত্রীবাহী কোনো বাস, মাইক্রোবাস পার হতে দেওয়া হচ্ছে না। প্রাইভেটকার, অ্যাম্বুলেন্সসহ পণ্যবাহী ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান পার হচ্ছে।
সরেজমিন রোববার বাংলাবাজার ঘাটে গিয়ে এমন দৃশ্যই চোখে পড়ে।
বাংলাবাজার ঘাটসূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার ভোর ৬টা থেকে কঠোর লকডাউন শুরু হলে গণপরিবহণের সঙ্গে নৌরুটে বন্ধ রাখা হয় লঞ্চ চলাচল। ঈদের দ্বিতীয় দিন গত ২২ জুলাই দিনরাত নৌরুট দিয়ে যাত্রীরা রাজধানী ঢাকায় পৌঁছেছেন।
শুক্রবার সকালে আগের রাতে আটকে থাকা শতাধিক ছোট যানবাহন পার করা হয়। তবে বিভিন্ন যানবাহনে ভেঙে ভেঙে বাংলাবাজার ঘাটে আসা সাধারণ যাত্রীরা অনায়াসেই ফেরিতে পার হতে পারছে।
রোববার সকাল থেকেও নৌরুটে ফেরিতে ছিল যাত্রীদের ভিড়। সাধারণ যাত্রীদের পাশাপাশি মোটরসাইকেল আরোহীদের পদ্মা পার হতে দেখা গেছে।
ঢাকাগামী যাত্রী মো. মাহিনুর জানান, অফিস খোলা রয়েছে। তাই ঢাকা যাচ্ছি। বরিশাল থেকে ভেঙে ভেঙে বাংলাবাজার ঘাটে এসেছি। লকডাউনে দূরপাল্লার পরিবহন বন্ধ। মাহিন্দ্রা (থ্রি-হুইলার) গাড়িতে করে ঘাটে এসেছি। ফেরিতে ২৫ টাকার টিকিট কেটে উঠেছি। কোনো সমস্যা হয়নি।
আরেক যাত্রী মো. ওহাব মিয়া বলেন, জরুরি দরকারে ঢাকা যাচ্ছি। পথে পুলিশ জিজ্ঞেস করেছিল। আমি জরুরি দরকারের কথা জানাতে ছেড়ে দিয়েছে। ফেরিতে উঠতে সমস্যা হয়নি।
বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ঘাটসূত্রে জানা গেছে, রোববার নৌরুটে রো রো ফেরিসহ মোট সাতটি ফেরি চলাচল করছে। নৌরুটে যাত্রীবাহী সব পরিবহণ পারাপার বন্ধ আছে। অ্যাম্বুলেন্স, পণ্যবাহী ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, লাশবাহী গাড়ি এবং জরুরি দরকারে যাওয়া ব্যক্তিগত যানবাহন পার করা হচ্ছে। অ্যাম্বুলেন্সে রোগীর সঙ্গে থাকা স্বজনরা পার হতে পারছেন।
বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন আহমেদ জানান, নৌরুটে সকাল থেকে সাতটি ফেরি চলছে। পণ্যবাহী ট্রাকের পাশাপাশি জরুরি যানবাহন পার করা হচ্ছে ফেরিতে। যাত্রীবাহী কোনো যানবাহন পার হতে দেওয়া হচ্ছে না।