ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে পারিবারিক বিরোধ মেটাতে গেলে এক নিরীহ ব্যক্তিকে কুপিয়ে হাত বিচ্ছিন্ন ও তার পরিবারের সদস্যদের কুপিয়ে আহত করার ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় থানা পুলিশ দুজনকে গ্রেফতার করেছে। ঘটনার সাথে জড়িত অনেকেই উপজেলা চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসান সুমন গ্রুপের সাথে জড়িত থাকায় এখনও ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আটক দুই আসামিকে ছাড়িয়ে নেয়ার জন্য বিভিন্ন লোকজন তদবির করছে বলে ভিকটিম পরিবারের সদস্যদের জানিয়েছে পুলিশ।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গুরতর আহত মিজানুর রহমান বলেন, শনিবার সন্ধায় ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের টংটংগিয়া গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে এমদাদুল হক (৩৫) তার স্ত্রীর সাথে ঝগড়া বিবাদে লিপ্ত হয়। ঝগড়া দেখে চাচা আব্দুস ছালাম সুরাহা করতে গেলে পূর্ব শত্রুতার অংশ হিসেবে এমদাদুল হক দা দিয়ে কুপিয়ে আব্দুস ছালামের হাত বিচ্ছিন্ন করে। চিৎকার শুনে আব্দুস ছালামের ছেলে মিজানুর রহমান, তরিকুল ইসলাম ও মেয়ে মাইমুনা বাবাকে উদ্ধার করেতে গেলে এমদাদুল হক তার লোকবল নিয়ে তাদেরকেও কুপিয়ে জখম করে। পরে স্থানীয়রা মারাত্বক আহত অবস্থায় আব্দুস ছালাম, তরিকুল ইসলাম, মিজানুর রহমান ও মাইমুনাকে উদ্ধার করে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মাইমুনাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাকিদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। আহত আব্দুস ছালাম, তরিকুল ইসলাম, মিজানুর রহমানকে ময়মনসিংহ মেডিকেলে নিয়ে আসলে আব্দুস ছালামের অবস্থা শংকটাপন্ন দেখে দ্রুত ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরণ করেন। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তরিকুল ইসলামের শরীরে ১৫০ টি ও মিজানুর রহমানের শরীরের ৬০ টি সেলাই দিয়েছে চিকিৎসকরা।
এঘটনায় আব্দুস ছালামের বড় ভাই হাবীবুর রহমান বাদী হয়ে ৯ জনের নামে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় মামলা করেন। অভিযুক্তরা হলেন এমদাদুল হক, উবায়দুল্লাহ, রহিমা খাতুন, মো: সোহেল, মাজত আলী, মো: সবুজ, একরাম হোসেন, আনিস মিয়া ও আব্দুল করিম। ঈশ্বরগঞ্জ থানা পুলিশ এ ঘটনায় অভিযুক্ত সোহেল ও মাজত আলীকে আটক করেছে।
এই ঘটনার বিষয়ে জানতে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি আবদুল কাদের মিয়া মামলার কথা স্কীকার করলেও মামলাটি সেনসেটিভ বলে তথ্য দিতে আপারগতা প্রকাশ করেন।
তবে ঘটনার সাথে জড়িত অনেকেই ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসান সুমনের লোক তাই পুলিশ লুকোচুরি খেলছে বলে ভিকটিম পরিবারের অভিযোগ।