যৌতুক হিসেবে ২১ নখের কচ্ছপ দাবি, দিতে না পারায় বিয়ে ভাঙ্গল পাত্রপক্ষ

বিয়েতে যৌতুক হিসেবে নগদ ১২ লাখ টাকার পাশাপাশি সোনার গয়নার চেয়েছিল পাত্রপক্ষ। পাত্রীপক্ষ সেটি পূরণ করলেও পাত্রপক্ষের চাহিদার শেষ নেই। এবার তারা দাবি করল প্রায় ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা মূল্যের ২১টি নখওয়ালা একটি বিরল কচ্ছপ এবং কালো রঙের ল্যাব্রাডর।

তবে কচ্ছপ জোগাড় করে দিতে না পারায় বিয়েই ভেঙে দেয় পাত্রপক্ষ। অন্যদিকে পণের টাকাও ফেরত দেয়নি। শেষমেশ ধৈর্যের বাঁধ ভেঙেছে পাত্রীপক্ষের। তারা পাত্রপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দিয়েছেন। ঘটনাটি ভারতের মহারাষ্ট্রে ঘটেছে।

দেশটির পুলিশ জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার (২০ জুলাই) ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক সদস্য এবং তার পরিবারের পাঁচ জনের বিরুদ্ধে ওসমানপুরা থানায় এফআইআর করা হয়েছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ওই সেনা সদস্যের বিয়ের পাকা কথা হয়েছিল। পাত্রীপক্ষের অভিযোগ, পাকা কথার আগে‌ই ২ লাখ টাকা-সহ ১০ গ্রাম সোনা পণ দেওয়া হয়েছিল পাত্রপক্ষকে। পাকা কথার পর দাবি ছিল আরও ১০ লাখ টাকা।
এমনকি, ১০ লাখ টাকার বদলে পাত্রীকে সরকারি চাকরির প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল ওই সেনা সদস্যের পরিবার। অভিযোগ, সে টাকা দিলে পাত্রীর সরকারি চাকরি তো দূরে থাক, পণের দাবি দিনের পর দিন বেড়েই গিয়েছিল। এবার বিরল প্রজাতির কচ্ছপ, ল্যাব্রাডরের সঙ্গে বৌদ্ধমূর্তি এবং দামি ল্যাম্প স্ট্যান্ডের দাবি করে পাত্রপক্ষ।

প্রসঙ্গত, ২১টি নখওয়ালা ওই বিরল প্রজাতি কচ্ছপ ভাগ্যবদল করতে পারে বলে অনেকের বিশ্বাস। তবে কোনো ভাবেই সে কচ্ছপ খুঁজে পায়নি পাত্রীপক্ষ। যার জেরে বিয়ে ভেঙে দেয় পাত্রপক্ষ। তবে পণের টাকা বা সোনার কিছুই ফেরত দিতে রাজি নয় তারা। এরপরই পুলিশে যায় পাত্রীর পরিবার।

এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘‘পণের দাবি মেটাতে না পেরে পাত্রীর বাবা অত্যন্ত অসহায় হয়ে আমাদের কাছে এসেছিলেন। ওই পাত্র-সহ মোট ছয় জনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০, ৪০৬ এবং ৩৪ ধারায় বিশ্বাসভঙ্গ এবং প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তদন্তের পর হয়তো আরও ধারা যোগ করা হবে।’’ সূত্র: আনন্দবাজার

Share this post

scroll to top