নিজেদের ব্যাটিং ইনিংসে চালকের আসনেই ছিল বাংলাদেশ। ওপেনার তামিম ইকবালের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ২৯৯ রানের লক্ষ্য পূরণে এগিয়ে যাচ্ছিল টাইগাররা।
ইনজুরি নিয়েই সেঞ্চুরি করলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে ব্যাট হাসেনি তার। শেষ ম্যাচে দুর্দান্ত খেলেছেন।
তেন্ডাই চাতারার ফুল লেংথ বলে সজোরে ড্রাইভ করেন ক্যারিয়ারের ১৪তম সেঞ্চুরিটি পূরণ করলেন এ ড্যাশিং ওপেনার।
মাত্র ৮৭ বলে ৭ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায় তিন অংকের ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছে যান তামিম। ওই সময় জয়ের জন্য ৯৬ বলে ৯৫ রান প্রয়োজন ছিল বাংলাদেশের। হাতে ছিল ৮ উইকেট।
এক কথায় হেসেখেলেই জেতার মতো পরিস্থিতি। কিন্তু আচমকাই বাংলাদেশ শিবিরে বড় ধাক্কা দিলেন তিরিপানো।
তার জোড়া শিকারে পরিণত হলেন সেঞ্চুরিয়ান তামিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। রাউন্ড দা উইকেটে অফ স্টাম্পের বাইরে লেংথ বল করেন ডোনাল্ড তিরিপানো।
তামিম অনেকটা আলসেমির মতো জায়গায় দাঁড়িয়ে আলতো করে ব্যাট পেতে দেন। ব্যাটের কানায় লেগে বল যায় কিপারের কাছে।
৯৭ বলে ১১২ রান করে সাজঘরে ফিরলেন তামিম। সেই ধাক্কা সামলানোর পর পরই শূন্য রানে আউট হলেন ময়মনসিংহের কৃতি সন্তান মাহমুদউল্লাহ।
নিজের ২০০তম ম্যাচে ‘গোল্ডেন ডাক’মারলেন তিনি। তিরিপানোর অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারি কাট করে হালকা ঢোকে ভেতরে। মাহমুদউল্লাহ ক্রস ব্যাটে শট খেলার চেষ্টা করেন। বল তার ব্যাটের ভেতরের কানায় লেগে যায় কিপার চাকাভার গ্লাভসে জমা হয়।
পর পর দুই উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়েছে বাংলাদেশ। খেলার এই পর্যায়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেট ২৬৮ রান।
জয় পেতে ৪০ বলে দরকার ৩১ রানের।