বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবামেক) হাসপাতালের তিন ইন্টার্ন চিকিৎসককে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে ছাত্রলীগ। মঙ্গলবার বিকেলের দিকে এ ঘটনা ঘটে। বুধবার আটক চিকিৎসকদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
আটককৃতরা হলেন মেডিক্যাল কলেজ ছাত্রদলের নেতা রাফসান জানি আবির, আবু তালহা ও মাহফুজুর রহমান শিমুল। এরা তিনজনই ৪৪তম ব্যাচের ছাত্র ও সদ্য শেবাচিম হাসপাতালে যোগদানকৃত ইন্টার্ন চিকিৎসক।
মেডিক্যাল কলেজ ছাত্রলীগ নেতা আল মামুন বলেন, ছাত্রদলের ওই তিন নেতার মধ্যে রাফসান জানি আবির মেডিক্যাল কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি, আবু তালহা সাধারণ সম্পাদক ও মাহফুজুর রহমান শিমুল সহ-সভাপতি। এরা ক্যাম্পাসের বাইরে থেকে গত নির্বাচনের পূর্বে মেডিক্যাল কলেজে সরকার বিরোধী নানান কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল।
পাশাপাশি তারা বিভিন্ন সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বঙ্গবন্ধু ও সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালায়। নির্বাচনের পরে তারা পালিয়ে বেড়ালেও মঙ্গলবার ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা তাদের ক্যাম্পাসে পেয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয় বলেও জানান তিনি।
বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতয়ালি মডেল থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মো. নুরুল ইসলাম সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আটককৃতদের বিরুদ্ধে আগের নাশকতার মামলা রয়েছে। ওই মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে বুধবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত তিন ইন্টার্ন চিকিৎসককে পুলিশের হাতে তুলে দেয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও বরিশাল মহানগর সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. মজিবর রহমান সরোয়ার।
তিনি বলেন, একজন চিকিৎসক ছাত্র জীবনে সরকারের ভিন্ন মতের রাজনীতি করতেই পারেন, এজন্য তাকে কর্মস্থল থেকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া চরম অগণতান্ত্রিক আচরণ। তিনি অবিলম্বে আটক ইন্টার্ন চিকিৎসকদের মুক্তির দাবি জানান।