ময়মনসিংহের সাথে আন্ত:জেলায় যাতায়াতের জন্য ঈদ আগ মুহূর্তে গণপরিবহণের বাড়তি চাপের সাথে অতিরিক্ত গতিতেও চলছে যানবাহন। মূলত, ঈদে ঘরমুখী যাত্রীদের বহন করতে প্রতিযোগীতায় মেতেছে গণপরিবহণ শ্রমিকরা। যত দ্রুত সম্ভব যাত্রীদের কাঙ্খিত স্টেশনে পৌঁছানো যাবে তত তাড়াতাড়ি নতুন যাত্রা (ট্রিপ) নেয়ার এ প্রতিযোগীতার কারণে যাত্রীরা যেমন আতঙ্কে তেমনি মহাসড়কের ছোট ছোট পরিবহণ ও পথচারিরাও দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।
সোমবার (১৯ জুলাই) দুপুর থেকে ঢাকা ও গাজীপুরের সব কারখানাই ছুটি হওয়ায় ঈদের আনন্দে গার্মেন্টেস শ্রমিক ও বিভিন্ন কর্মজীবিরা পরিবারের সঙ্গে ঈদের ছুটি কাটাতে গ্রামে আসছেন। যে কারণে, ময়মনসিংহ-ঢাকা, ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ-নেত্রকোনা, ময়মনসিংহ-শেরপুর মহাসড়কে যাত্রীদের চাপ বেড়ে যায় ও বেপরোয়া গতিতে চলছে গণপরিবহণ। মহাসড়কে হাইওয়ে পুলিশের ডিউটি ঈদের আগে কম থাকায় গণপরিবহণ চালকরাও সুযোগটিকে ব্যবহার করছে। একাধিক চালকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাস ও ট্রাকের প্রায় সব চালকই মাসিক বেতনভুক্ত নন। যাত্রা (ট্রিপ) অনুযায়ী মালিকের কাছ থেকে টাকা পান। এ জন্যই পথে গতি বৃদ্ধি করে পাল্লা দিয়ে যানবাহন চালাচ্ছেন তারা।
একদিকে ঈদের আগে যানবাহন মালিককে ট্রিপ বেশি দেখানোর এমন নষ্ট প্রতিযোগীতা রয়েছে চালকরা। আবার ক্ষেত্র বিশেষে যাত্রীদেরও বাহবা পাচ্ছেন চালকরা। কারণ, অনেক যাত্রীই দ্রুত নিজ বাড়িতে ফিরতে চান। অপরদিকে গতির প্রতিযোগিতায় কোনো চালক অন্য কোনো চালককে ছাড় দিতে চাচ্ছেন না। বিশেষ করে গতকাল সোমবার থেকে এই বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর প্রতিযোগিতা বেশি বেড়েছে। যেকোন মুহূর্তে সড়কে বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এমনটি জানিয়েছেন পথচারীরাও।
ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের বাস চালক ফারুক জানান, রাস্তায় তো একটু ঝুঁকি নিতেই হবে। তা না হলে ট্রিপ তো কাভার হবে না। তিনি আরো বলেন, যতটুকু সচেতন থাকার কথা ততটুকু আছি। গাড়ি যেন আয়ত্বের বাইরে না যায় সে দিকে খেয়াল আছে।