অতীতে অনেকবার দলের বিপদে ত্রাণকর্তার ভূমিকা পালন করেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। প্রায় দেড় দশক ধরে লাল-সবুজের জার্সির অন্যতম পরিচিত মুখ তিনি। এবার ওয়ানডেতে ২০০ ম্যাচের মাইলফলকের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন ময়মনসিংহের এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার।
তিন ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় এবং শেষ ওয়ানডেতে আগামীকাল জিম্বাবুযের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। এদিন একাদশে থাকলেই টাইগারদের পঞ্চম ক্রিকেটার হিসেবে একদিনের ক্রিকেটে ২০০ ম্যাচ খেলার নজির গড়বেন রিয়াদ।
এর আগে বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডেতে ২০০ ম্যাচের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন সাকিব আল হাসান, মাশরাফি বিন মর্তুজা, তামিম ইকবাল এবং মুশফিকুর রহিম। এই তালিকায় সবার ওপরে আছেন মুশফিক। এখন পর্যন্ত ২২৭টি পঞ্চাশ ওভারের ম্যাচ খেলেছেন এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান। মাশরাফি এবং তামিম সমান ২১৮ এবং সাকিব খেলেছেন ২১৪ ম্যাচ।
২০০৭ সালের ২৫ জুলাই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে ওয়ানডে অভিষেক হয় রিয়াদের। ৭ বছর খেলার পর ভারতের বিপক্ষে মিরপুরে ছুঁয়ে ফেলেন দেশের হয়ে ১০০ ওয়ানডে খেলার মাইলফলক। এবার অপেক্ষা ২০০তম ম্যাচের।
রিয়াদের ১৪ বছরের ক্রিকেট ক্যারিয়ার বেশ সমৃদ্ধ। ১৯৯ ওয়ানডেতে ৪ হাজার ৪৬৯ রান আছে তার নামের পাশে। যা দেশের হয়ে চতুর্থ সর্বোচ্চ। এই ফরম্যাটে ৭৬ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীদের তালিকার সাত নম্বরে অবস্থান করছেন এই ব্যাটিং অলরাউন্ডার।
বিশ্বকাপে সেঞ্চুরি হাঁকানো প্রথম বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান রিয়াদ। ২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারের দেখা পান তিনি। ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিউজিল্যান্ডকে হারানোর পথেও সেঞ্চুরি করেন ৩৫ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চলমান ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচেই রানের দেখা পেয়েছেন রিয়াদ। প্রথম ম্যাচে ৩৩ রানের পর দ্বিতীয় ম্যাচে করেন ২৬ রান। ছোট হলেও এই ইনিংস দুটি রিয়াদ খেলেছেন দলের চরম বিপর্যয়ের মুখে।