গাজীপুরের কালীগঞ্জে ক্লাস ফাঁকি দিয়ে রেস্টুরেন্টে আড্ডা বখাটেপনা করায় মঙ্গলবার বিভিন্ন স্কুল-কলেজের ১০ জোড়া ছাত্র-ছাত্রীকে আটক করে পুলিশ। পরে ভবিষ্যতে এ ধরণের কাজ না করার শর্তে অভিভাবকদের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাদের জিম্মায় দেয়া হয় আটককৃতদের। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় এসময় তালাবন্ধ করে দেয়া হয় ওই রেস্টুরেন্টটি।
কালীগঞ্জ থানার ওসি মো: আবু বকর মিয়া ও স্থানীয়রা জানান, বেশ কিছুদিন ধরে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা ক্লাস ফাঁকি দিয়ে কালীগঞ্জ পৌর এলাকার শহীদ ময়েজউদ্দিন সড়কের দেওয়ান মার্কেটে সাদেক মিয়া মালিকানাধীন ফুড ক্লাব ফাস্ট ফুড অ্যান্ড চাইনিজ রেস্টুরেন্টে বসে দীর্ঘ সময় ধরে আড্ডা দিয়ে বখাটেপনা করে আসছিল।
সম্প্রতি এ রেস্টুরেন্টসহ আশেপাশের আরো কয়েকটি রেস্টুরেন্টে একাধিক অসামাজিক ঘটনা ঘটে। ছাত্র-ছাত্রীরা ইভটিজিংসহ বিভিন্ন বিপথগামী কর্মকান্ডে জড়িয়ে যাওয়ার খবর পেয়ে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ মঙ্গলবার বিকেলে ওই রেস্টুরেন্টে অভিযান চালায়।
এসময় পুলিশ বিভিন্ন শ্রেণীতে পড়ুয়া ২০ জন শিক্ষার্থীকে (১০ জোড়া) আটক করে। পরে তাদের অভিভাবকদের ডেকে এনে ভবিষ্যতে এ ধরণের কাজ না করার শর্তে অভিভাবকদের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাদের জিম্মায় আটককৃতদের ছেড়ে দেয়া হয়। এসময় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে না পারায় ওই রেস্টুরেন্টটি তালাবদ্ধ করে দেয়া হয়।
পুলিশের ওই কর্মকর্তা আরো জানান, ওই রেস্টুরেন্টসহ আশেপাশের আরো কয়েকটি রেস্টুরেন্টে বেশ কিছুদিন ধরে এধরনের কর্মকাণ্ড চলে আসছে। ইতোপূর্বে এসব রেস্টুরেন্টে একাধিকবার ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা হলেও এ ধরণের ব্যবসা পরিহার করেনি কর্তৃপক্ষ। বরং নতুন নতুন সুবিধা ও প্রলোভন দিয়ে শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করতো রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীরা।
উঠতি বয়সের শিক্ষার্থীরাও স্কুল কলেজে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বেরিয়ে সেখানে গিয়ে ঘন্টাপ্রতি মূল্যে দিনভর আড্ডা দিয়ে সময় ব্যয় করে স্কুল-কলেজ ছুটির পর বাসায় ফিরে যেতো।
কাগজপত্র যাচাই বাছাই করে রেস্টুরেন্টটির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।