১২৯ জন ছাত্রের গ্রেফতারির পরে উদ্বিগ্ন ভারত সরকার আমেরিকাকে ডিমার্শ (প্রতিবাদ পত্র) পাঠিয়েছিল। তার পরই সোমবার ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন দাবি করল, ভিসা জালিয়াতিতে নিজেদের অপরাধের কথা আগে থেকেই জানতেন ওই ছাত্ররা।
আমেরিকা এই বক্তব্য শোনার পরেই নয়াদিল্লিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ধৃত ছাত্রদের স্বার্থ ‘সর্বোচ্চ গুরুত্ব’ দিয়ে দেখা হচ্ছে। ১১৭ জনের সঙ্গে দেখা করতে পেরেছেন ভারতীয় কূটনীতিকেরা। বাকিদের সঙ্গে দেখা করার জন্যও কথাবার্তা চলছে। ছাত্রদের আইনি সহয়তা দেয়া হচ্ছে। ভারতীয় পড়ুয়াদের সঙ্গে যাতে অমানবিক আচরণ না করা হয়, সে জন্যও বলা হয়েছে আমেরিকাকে।
মার্কিন সরকারের মুখপাত্র ভিসা জালিয়াতির ঘটনাকে ‘দু’দেশের শিক্ষা সংক্রান্ত আদানপ্রদানের ঐতিহ্যের একটি দুর্ভাগ্যজনক স্খলন’ হিসেবে তুলে ধরেছেন। আমেরিকার মতে, গত বছরেই ভারত থেকে প্রায় ১ লক্ষ ৯৬ হাজার ছাত্র আমেরিকায় পড়তে এসেছেন। তবে এমন জালিয়াতির ঘটনা খুবই কম ঘটেছে। মুখপাত্র বলেন, ‘‘আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে, অর্থনীতিতেও ভিন্দেশি ছাত্রদের বিরাট গুরুত্ব। তারা তাদের দক্ষতা, অভিজ্ঞতা দিয়ে আমেরিকাকে সমৃদ্ধ করে চলেছে।’’ এর সঙ্গেই তার মন্তব্য, ‘‘পড়ুয়াদের আমেরিকায় নিয়ে আসতে গিয়ে কেউ কেউ অবৈধ পথ বেছে নিচ্ছেন, সেটাই দুর্ভাগ্যজনক।’’
ডেট্রয়টের এক ভুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে এই ভারতীয় ছাত্ররা কাজের জন্য নিজেদের আমেরিকায় থাকার ব্যবস্থা করতে চেয়েছিলেন বলে অভিযোগ। আমেরিকার বিভিন্ন শহর থেকে গত সপ্তাহে এদের গ্রেফতার করেছিল মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিয়োরিটি। এই ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে আটজন ভারতীয়কেও গ্রেফতার করা হয়। মিশিগানের একটি কোর্ট তাদের একজনকে জামিন দিয়েছে।