ময়মনসিংহ শহরের চর গোবিন্দুপুর এলাকায় মোটরসাইকেল চালক মো. শহিদুল ইসলামকে (২৫) কুপিয়ে জখম করার ঘটনার করা মামলার প্রধান আসামি মো. খাইরুলকে (৩০)নগরীর শম্ভূগঞ্জ এলাকা গ্রেফতার করেছে কোতুয়ালী থানা পুলিশ।
আজ (সোমবার) সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতুয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক অমিত হাসানিআসামিকে গ্রেফতার করে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, শহিদুল মোটর সাইকেল নিয়ে কাচারীঘাট থেকে বিভিন্ন এলাকায় ভাড়ায় যাত্রী পরিবহনের কাজ করে। বেশ কিছুদিন পূর্বে প্রধান আসামি খায়রুল তার মোটর সাইকেলে যেতে চাইলে সে (খায়রুল) মাদকসেবী ও মাদকের ব্যবসা করে বিধায় তাকে শহিদুল মোটরসাইকেলে নেয়নি।
এঘটনার জেরে গত ২৪ জুন সকাল আনুমানিক দশটার দিকে শহিদুল নগরীর কাচারীঘাট থেকে মোটর সাইকেলযোগে চর গোবিন্দপুর বাড়িতে যাওয়ার পথে চর গোবিন্দপুর হাইস্কুল সামনে পৌঁছা মাত্রই খায়রুল মোটর সাইকেলের গতিরোধ করে ও তার হাতে থাকা রামদা দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্য শহীদুলের কোপ দেয়। এসময় মাথায় হেলমেট থাকায় সেই কোপটি তার ডান হাতে এবং পেটের ডান পাশে লাগে। এতে শহিদুল মারাত্মক গুরুতর জখম হয়। খায়রুল আরেকটি কোপ দিলে সেটি শহিদুলের ডান পায়ের গোড়ালীতে লেগে হাড় কেটে মারাত্মক জখম হয়। এসময় খায়রুল-এর ভাই মাসুম ও বাবা হোসেন আলী বাঁশের লাঠি দিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ীভাবে আঘাত করে। পরে স্থানীয় লোকজনদের সহায়তায় শহিদুলকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়। এ বিষয়ে শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে কোতুয়ালী মডেল থানায় মো. খাইরুল (৩০), মো. মাছুম (৩২) ও মো. হোসেন আলী (৫৫), এই তিন জনকে আসামি করে একটি হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করে। তারা সবাই চর গোবিন্দপুর এলাকার বাসিন্দা।
ময়মনসিংহ কোতুয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফিরোজ তালুকদার জানান, মামলা দায়েরের পরই অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়।