রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের মতো পেকুয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক নয়াদিগন্তের পেকুয়া প্রতিনিধি ছফওয়ানুল করিমকেও জামিন দিলেন না নিম্ন আদালত। তিনি উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিন নিয়ে সোমবার চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ‘ফ্রেশ বেইলে’র আবেদন করলে আদালত জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারণা চলাকালীন পেকুয়া থানায় দায়ের করা দু’টি বিস্ফোরক ও ভাংচুর মামলায় সাংবাদিক ছফওয়ানুল করিমকেও আসামি করা হয়েছিল। ছফওয়ানুল করিম ও তার পরিবার দু’টি মামলার কোন ঘটনাতেই তার সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করে জানিয়েছিল, দু’টি মামলাতেই প্রতিহিংসাবশত ও রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করার জন্যই ওই মামলাগুলোতে তাকে আসামি করা হয়েছে।
সোমবার সকালে সাংবাদিক ছফওয়ানুল করিম চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব কুমার দেবের আদালতে দু’টি মামলাতেই জামিনের আবেদন করেন। বিচারক শুনানি শেষে ছফওয়ানুল করিমকে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সূত্র মতে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারণা চলাকালীন ২০১৮ সালের ২২ ডিসেম্বর পেকুয়া থানায় বিস্ফোরক ও ভাংচুর করার অভিযোগে পৃথক দুইটি মামলা রুজু হয়। পেকুয়া থানার ১২ (জিআর ২১৭) ও ১৭ (জিআর ২২২) নাম্বার মামলা দু’টিতেই পেকুয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো. ছফওয়ানুল করিমকে আসামি করা হয়। পরে ছফওয়ানুল করিম হাইকোর্টে ২৫৬৬ নাম্বার মিচ মামলা করে ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি চার সপ্তাহের আগাম জামিন পান।
হাইকোর্টের দেয়া জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই সোমবার চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ‘ফ্রেশ বেইলে’র জন্য আবেদন করেন। কিন্তু আদালত জামিন নামঞ্জুর করে সাংবাদিক ছফওয়ানুল করিমকে কারাগারে পাঠান।
উল্লেখ্য, মো. ছফওয়ানুল করিম পেকুয়া সদর ইউনিয়নের সিকদার পাড়ার মাষ্টার মুমিনুল হকের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে চকরিয়া প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও দৈনিক নয়াদিগন্ত পত্রিকার পেকুয়া উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি এলাকায় একজন পরিচ্ছন্ন সাংবাদিক হিসেবে পরিচিত।