যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহারের মধ্যে তালেবান আফগানিস্তানের ৮৫ শতাংশ এলাকা ইতোমধ্যে দখলে নেওয়ার দাবি করেছে। যেসব প্রদেশের দখল তাদের হাতে নেই এখন সেসব দখলে তারা নিয়মিত সংঘর্ষে জড়াচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে। এরই ধারাবাহিকতায় কান্দাহার শহরেও হামলা চালিয়েছিল গোষ্ঠীটি। তবে এ হামলা ‘প্রতিহত’ করে তালেবান যোদ্ধাদের হটিয়ে দেওয়ার দাবি করেছে নিরাপত্তা বাহিনী।
শুক্রবার সকালে কান্দাহার শহরের দুটি পুলিশ চেকপোস্টে হামলা চালায় তালেবান। এ খবর জানিয়েছে আফগানিস্তানের সংবাদমাধ্যম টোলো নিউজ।
খবরে বলা হয়, শুক্রবার সকালে তালেবানের যোদ্ধারা কান্দাহার শহরে হামলা চালিয়ে দুটি পুলিশ চেকপোস্টের নিয়ন্ত্রণ নেয়। কিন্তু নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা দাবি করছেন, তাদের প্রতিরোধের কারণে তালেবান যোদ্ধারা অগ্রসর হতে পারেননি।
ইতোমধ্যে প্রদেশের ১০টিরও বেশি জেলা তালেবান দখলে নিয়েছে।
কান্দাহারের গভর্নর রুহুল্লাহ খানজাদা বলেন, এটা (তালেবানের হামলা) এখানে বড় কোনো সমস্যা নয়। আমি কান্দাহারের বাসিন্দাদের নিশ্চয়তা দিচ্ছি। আমরা যতক্ষণ জীবিত আছি তালেবানকে শহরের ভেতরে ঢুকতে দেব না।
কান্দাহার পুলিশের কমান্ডার সেলিম ইহসাস বলেন, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, চিন্তার কোনো কারণ নেই। আপনারা নিশ্চিত থাকুন। আপনাদের সাহসী সন্তানেরা আপনাদের রক্ষা করবে।
কান্দাহারের তখতপোল এলাকার পুলিশ কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাশেম রাখওয়াল বলেন, তারা (তালেবান) মহাসড়ক এলকায় হামলা চালানোর চেষ্টা করেছিল। তুমুল সংঘর্ষে তাদের অনেকেই মারা গেছে।
শুধু কান্দাহার নয়, কুন্দুজ, বাঘলান, হেরাত, গজনি, ফারইয়াব এবং ময়দান ওয়ারদাক প্রদেশের নানা স্থানে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ চলছে তালেবানের।
যুক্তরাষ্ট্র ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সব সেনা প্রত্যাহার করার ঘোষণা বাস্তবায়নের প্রায় শেষ দিকে রয়েছে।
মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আফগানিস্তান থেকে দেশটি ‘৯০ শতাংশের বেশি’ সেনা প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ২০০১ সালে আফগানিস্তানে আগ্রাসন শুরু করে। দুই দশকের এই যুদ্ধে মার্কিন সামরিক বাহিনীর দুই হাজার তিনশর বেশি সদস্য প্রাণ হারান। আহত হন যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর হাজার হাজার সেনা। পাশাপাশি অগনতি আফগান নাগরিক যুদ্ধের শিকারে পরিণত হয়। এই যুদ্ধের জন্য খরচ করা হয় দুই ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ।