জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের একমাত্র টেস্টের প্রথম ইনিংসে দলের বিপর্যয়ের মুখে দুর্দান্ত ব্যাট করেছেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও তাসকিন আহমেদ। তাদের ব্যাটি দৃঢ়তায় স্বাগতিকদের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৪৬৮ রান তুলেছে টাইগাররা।
দীর্ঘদিন পর মাঠে ফিরে দলের বিপর্যয়ের মুখে অপরাজিত ১৫০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেললেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। এই রান করতে ২৭৮ বলে ১৭টি চার ও একটি ছক্কা হাঁকান তিনি।
মাহমুদুল্লাহর টেস্ট ক্যারিয়ারে এটি সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর। এর আগে তার সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ১৪৬।
নবম উইকেট জুটিতে আগের রেকর্ড ভেঙে দেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও তাসকিন আহমেদ। ২৭৬ বলে ১৯১ রানের পার্টনারশিপ গড়েছেন তারা। এরপর দারুণ ব্যাটিং করা তাসকিন ১৩৪ বলে ১১টি চারের সাহায্যে ৭৫ রান করে মিল্টন শাম্বার বলে বোল্ড হয়ে মাঠ ছাড়েন। জিম্বাবুয়ের মাটিতে বাংলাদেশের যেকোনো জুটিতেও এটি রেকর্ড পার্টনারশিপ।
আগের জুটিটিতেও অবশ্য মাহমুদুল্লাহর অবদান ছিল। ২০১২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খুলনা টেস্টে নবম উইকেটে আবুল হাসানকে নিয়ে ১৯৭ বলে ১৮৪ রান করেছিলেন এই তারকা ব্যাটসম্যান। যদিও মাহমুদুল্লাহ-তাসকিনের সামনে বিশ্বরেকর্ডের হাতছানি ছিল। ১৯৯৮ সালে জোহান্নেসবার্গ টেস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার মার্ক বাউচার ও প্যাট স্যামকক্স ১৯৫ রান করেছিলেন। রিয়াদ-তাসকিনের এই জুটিটি এখন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
আগের দিন টপ অর্ডারের ব্যর্থতার পর ঘুরে দাঁড়িয়েছিল বাংলাদেশের মিডল অর্ডার। দ্বিতীয় দিন দলীয় সংগ্রহটাকে বিশাল আকার দিচ্ছে লোয়ার মিডল অর্ডার। বিশেষ করে নবম উইকেট রেকর্গ গড়ে বড় ভূমিকা রাখছেন মাহমুদুল্লাহ ও তাসকিন।
দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশের রানের চাকা সচল রাখার মূল কৃতিত্ব রিয়াদের। দীর্ঘদিন পর টেস্ট ক্রিকেটে ফেরা এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান এরইমধ্যে নিজের ৫০তম ম্যাচে দেখা পেয়েছেন পঞ্চম সেঞ্চুরির। ১৯৫ বল খেলে ১১টি চার ও ১টি ছক্কায় ইনিংসটি সাজিয়েছেন তিনি।
মাহমুদুল্লাহর পাশে পার্শ্ব-নায়কের ভূমিকায় দেখা দিয়েছেন লোয়ার মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান তাসকিন আহমেদ। মূলত পেসার হলেও ব্যাট হাতে দুর্দান্ত সব শট খেলে তিনি তুলে নিয়েছেন টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি, তাও মাত্র ৬৯ বলে। আছে ৮টি চারের মার। অবশ্য ব্যক্তিগত ৩৪ রানে একবার দ্বিতীয় স্লিপে ক্যাচ তুলে দিয়ে বেঁচে যান তিনি।
এর আগে গতকাল বুধবার হারারে স্পোর্টস ক্লাব গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত টেস্টের প্রথম দিনে বাংলাদেশ ৮ উইকেটে ২৯৪ রান তোলে। ৫৪ রানে অপরাজিত ছিলেন ‘সাইলেন্ট কিলার’ মাহমুদুল্লাহ। আর তাসকিন অপরাজিত ছিলেন ১৩ রানে।