বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ষষ্ঠ আসরে ফাইনালে ওঠে গেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। আজ প্রথম কোয়ালিফাইয়ার ম্যাচে তারা সহজেই পরাজিত করে রংপুর রাইডার্সকে। টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে রংপুর করেছিল ৫ উইকেটে ১৬৫ রান। জবাবে সহজেই তা অতিক্রম করে যায় কুমিল্লা। ৭ বল বাকি থাকতেই তারা ৮ উইকেটে জয়ী হয়ে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে। এভিন লুইসের হার না মানা ৭১ রানের সুবাদেই তামিমদের দলটি শিরোপার দ্বারপ্রান্তে ওঠে এলো।
হ্যামস্ট্রিং নিয়েও তিনি ৫৩ বলে এই স্কোর করেন। এই দুর্দান্ত স্কোরের পথে তিনি প্রথমে এনামুল হকের এবং তারপর শামসুর রহমানের কাছ থেকে দারুণ সহায়তা পান। শামসুর ১৫ বলে ৩৪ রানের অনন্য এক ইনিংস উপহার দিয়েছেন।
হাওয়েলের অপরাজিত হাফ সেঞ্চুরি
এর আগে বেনি হাওয়েলের অপরাজিত হাফ সেঞ্চুরির সুবাদে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৬৫ রান করেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রংপুর রাইডার্স।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং বেছে নেন রংপুর রাইডার্স অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। রংপুরের ইনিংস শুরু করেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিস গেইল ও মেহেদি মারুফ। সর্তকতার সাথে খেলতে থাকেন বিধ্বংসী ওপেনার গেইল। অপর প্রান্তে স্ট্রাইকে যাবার সুযোগ কমই পান মারুফ। তবে তৃতীয় ওভারের শেষ বলে উইকেট পতনের তালিকায় নাম তুলেন মারুফ। ৩ বলে ১ রান করে কুমিল্লার পাকিস্তানী পেসার ওয়াহাব রিয়াজের বলে আউট হন তিনি।
মারুফের বিদায়ে উইকেটে যোগ দেন উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ মিথুন। ৩ বলে ৩ রান করে রান আউটের ফাঁদে পড়েন মিথুন। ৩৪ রানে ২ উইকেট হারানোর পরও নিজের বিধ্বংসী রূপ ধারণ করতে পারেননি গেইল। চার নম্বরে নামা দক্ষিণ আফ্রিকার রিলি রৌসুকে নিয়ে সামনের দিকে এগোতে থাকেন গেইল। তবে সেটি মন্থর গতিতে। ইনিংসের ১০ ওভার শেষে ৬টি চার ও ১টি ছক্কায় ৪৩ বলে ৪৬ রান ছিলো গেইলের নামের পাশে। তবে ১১তম ওভারের প্রথম বলে ওই রানেই থেমে যান গেইল। স্পিনার মেহেদি হাসানের বলে আউট হন ব্যক্তিগত ৪৫ রানে জীবন পাওয়া গেইল।
এরপর উইকেটে গিয়ে বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি ইংল্যান্ডের রবি বোপারা। ৯ বলে ৩ রান করে থামেন বোপারা। ১৩তম ওভারের প্রথম বলে বোপারার বিদায় উইকেটে রুশোর সঙ্গী হন ইংল্যান্ডের বিনি হাওয়েল। এই দু’জনও প্রথম দিকে রংপুরের রানের গতি বাড়াতে পারেননি। ১৫ ওভার শেষে রংপুরের স্কোর দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ৯১।
তবে ১৬তম ওভার থেকেই জ্বলে উঠেন রুশো ও হাওয়েল। ১৬ থেকে ১৮ ওভার পর্যন্ত এ জুটি রান তোলেন যথাক্রমে- ১২, ১২, ১৩। কুমিল্লার পেসার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের করা ১৯তম ওভার থেকে ১৯ রান তুলেন তারা। তবে ওই ওভারের পঞ্চম ডেলিভারিতে আউট হয়ে যান চলমান আসরে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী রুশো । ৩১ বলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪৪ রান করেন তিন।
ইনিংসের শেষ ওভারে নাহিদুল ইসলামকে নিয়ে দলকে ১৮ রান এনে দেন হাওয়েল। ফলে ৫ উইকেটে ১৬৫ রানের লড়াকু স্কোর পায় রংপুর। শেষ ওভারে একটি করে চার ও ছক্কায় নিজের হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন হাওয়েল। শেষ পর্যন্ত ৩টি চার ও ৫টি ছক্কায় মাত্র ২৮ বলে অপরাজিত ৫৩ রান করেন হাওয়েল। ৩ বলে ৬ রানে অপরাজিত থাকেন নাহিদুল।