ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় এক চিকিৎসককে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা বুধবার সকাল থেকেই কর্মবিরতি পালন করছেন। এঘটনায় অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা মাহবুবুল হক মনিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মাহবুবুল হক মনি মুক্তাগাছা উপজেলা যু্বলীগের সভাপতি ।
জানাযায়, মারধরের শিকার ডা. এ এইচ এম সালেকিন মামুন গতকাল মঙ্গলবার (৬জুলাই) মুক্তাগাছা হাসপাতালের জরুরী বিভাগে কর্মরত ছিলেন। এমতাবস্থায় দুপুর ১ টা বেজে ৫৫ মিনিটে হাসপাতালের হটলাইন নাম্বারে মুক্তাগাছা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মাহবুবুল হক মনি ফোন দেন। এবং তার ৭০ বছর বয়সী মায়ের করোনার স্যাম্পল বাসা থেকে আনতে বলেন। তখন ডা. সালেকিন জানায় যে, বাসায় গিয়ে স্যাম্পল নেয়া আপতত বন্ধ ও তাকে তার মাকে হাসপাতালে নিয়ে এসে স্যাম্পল দেয়ার পরামর্শ দিলে সে ফোন কেটে দেয়।
এর কিছুক্ষন পর আনুমানিক ২টা ৫ মিনিটে সরাসরি সে ও তার দলবল সহ আনুমানিক ৮-১০ জন মিলে হাসপাতালের ইমারজেন্সী মেডিকেল অফিসারের রুমে ঢুকে রুমের দরজা বন্ধ করে চিকিৎসককে অকথ্য ভাষায় গালাগালি, বিভিন্ন হুমকি প্রদান করে এবং তার মুখের মাস্ক খুলে নেয়ার জন্য বারবার ধমক দিতে থাকে। হঠাৎ তার আশপাশের ৮-১০ জন মিলে চিকিৎসককে এলোপাতাড়ি চর থাপ্পর ও ঘুষি মারতে থাকে। এ সময় হাসপাতালের স্টাফ মিলে তাদের বিরত করার চেষ্টা করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মুক্তাগাছা থানার ওসি দুলাল আকন্দ বলেন,মঙ্গলবার (৬ জুলাই) রাতে মাহবুবুল হক মনিকে আসামী করে ডা. এ এইচ এম সালেকিন বাদী হয়ে মুক্তাগাছা থানায় মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় মাহবুবুল হক মনিসহ ৫জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত অন্যান্যরা হচ্ছে- জাহিদুল ইসলাম জুয়েল, রানা দে, কামরুজ্জামান জামান ও রাকিবুল ইসলাম শরিফ। এরা সবাই যুবলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত বলে পুলিশ জানিয়েছে।
ময়মনসিংহ জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার (৬ জুলাই) দুপুরে যুবলীগ নেতা মাহবুবুল হক মনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসকে মারধর করেন। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। চিকিৎসকরা যেন কর্মবিরতি তুলে নেয় সে জন্য তাদের সাথে আলোচনা হচ্ছে।