ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় কয়েকটি বাজার কম দামে ইজারা দেওয়ায় এবং দুটি বড় বাজার ইজারা না হওয়ায় সরকার মোটা অংকের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ইজারা দেওয়া বাজার হলো নান্দাইল রোড বাজার, ওই বাজারটি গত তিন বছর আগে ২৬ লাখ টাকা ডাক হয়েছিল। বিগত ৩ বছর বাজারটি খাস কালেকসনের নামে স্থানীয় একটি সিন্ডিকেট মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। ১৪২৮ বাংলা সনের জন্য বাজারটি ৮ লাখ টাকা ডাক হয়েছে। অপর দিকে জালুয়া হেমগঞ্জ বাজারটি গত বছর এর আগে মোটা অংকের ডাক ছিল। ১৪২৮ বাংলা সনের জন্য বাজারটি ৬ লাখ টাকা ডাক হয়েছে বলে জানা গেছে।কানুরামপুর বেলালাবাদ ও বাশহাটি দুইটি বড় বাজার ডাকবিহীন ভাবে খাস কালেকসনের নামে হরিলুঠ চলছে। এতে সরকার লাখ লাখ টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে বলে স্থানীয় সচেতন মহল জানিয়েছেন।
এব্যাপারে তৎকালিন ইউএনও এরশাদ উদ্দিনের কাছে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে, তিনি জানান ডাককারি না পাওয়ায় সর্বোচ্ছ ডাককারিকে সরকারি বিঁধি মোতাবেক বাজার ইজারা দেওয়া হয়েছে। বাজার ডাকের টাকা সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা পরিষদ একটি পার্সেন্টস পেয়ে থাকে। বাজারগুলো সঠিক মূল্যে ডাক না হওয়ায় ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা পরিষদ রাজস্ব হারাচ্ছে। । যার ফলে উপজেলা ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়ন কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সুত্র থেকে জানা গেছে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, উপজেলার বৃহত্তম চারটি বাজার হলো নান্দাইল রোড বাজার,ঝালুয়া বাজার,বাশহাটি গরুর বাজর,পাছরুখী বাজার।বাশহাটি বাজারটি তৎকালিন ইউএনও এরশাদ উদ্দিন বাজারটি দখলমুক্ত করলেও পরে রহস্যজনক কারণে চলতি বাংলা সনে বাজারটি আর ডাক হয় নি। গত কয়েক বছর ধরে গরুর বাজারটি স্থানীয় একটি সিন্ডিকেট হরিলুঠ করে আসছে বলে স্থানীয়রা জানান।বর্তমান বাজারটি খাস কালেকসান করা হচ্ছে।অপরদিকে আরেক বৃহত্তর গরুর হাট নান্দাইল রোড বাজার, বিগত তিন বছর বাজরটি কোনো ইজারা ডাক হয় নি।
তথ্যানুসন্ধানে আরো জানা যায়, স্থানীয় একটি সিন্ডিকেট ডাকের সময় বাজারগুলো ডাকতে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন প্রতিবন্ধতা সৃষ্টি করার কারনে বাজারগুলোতে ডাকে অংশ গ্রহন না করায় সঠিক মূল্যে ডাক হয় না।স্থানীয় সিন্ডিকেটটিই নামকা ওয়াস্তে কম দামে অঘোষিতভাবে সাপ্তাহিক মাসিক ইজারা নিয়ে বাজার কালেকসান করে।এভাবে নান্দাইল উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার থেকে সুবিধাবাদী চক্রটি মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
এলাকার সচেতন মহলের দাবী বাজারগুলো ডাকের ব্যবস্থা করে হরিলুঠ বন্ধ করার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের কাছে জোর দাবী জানিয়েছেন।