ইনস্টাগ্রামে তার অনুসারীর সংখ্যা অর্ধ লাখেরও বেশি। ইনস্টাগ্রাম ছাড়াও ফেসবুক, ইউটিউব টুইটারসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার অনুসারীর সংখ্যা হাজার হাজার। আর এসব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পোস্ট প্রতি তার আয়টাও নেহায়েত কম নয়।
না, কোনো মানুষ নয়। বলা হচ্ছে ব্রসি মায়িংটন নামের এক বিড়ালের কথা।
বিবিসি শনিবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছেন, ব্রসি এসব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে যে অর্থ আয় করে তা দিয়ে নিজের খাবার, ওষুধ, পশু চিকিৎসকের ব্যয় মেটানোর পরও তার ভাইবোনের খরচও চালানো হয়। ব্রসির পোস্ট প্রতি আয় বাংলাদেশি মুদ্রায় এক লাখের বেশি বলে জানা গেছে।
ইনস্টাগ্রামে সবচেয়ে জনপ্রিয় ‘পেট ইনফ্লুয়েন্সার’ জিফ পম নামের একটি কুকুর। তার অনুসারীর সংখ্যা এক কোটিরও বেশি। তার পোস্টপ্রতি আয় ৪৫ হাজার ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় চার লাখের কাছাকাছি।
অন্যদিকে ইনস্টাগ্রামে মানুষের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ইনফ্লুয়েন্সার ফুটবল তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পোস্টপ্রতি আয় ১৫ লাখ ডলারের বেশি। একটা কুকুর হিসেবে জিফ পমের আয়কে নেহায়েত কম বলা চলে না।
কারোনাকালের অবরুদ্ধ সময়ে অনলাইনে পোষা প্রাণীদের ভিডিও’র জনপ্রিয়তা বাড়ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোষা প্রাণীরাও ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে জনপ্রিয় হচ্ছে।
ঘরে বসে মানুষ নিজের সন্তানের মতোই দেখভাল করছে পোষা প্রাণীদের। এজন্য পোষা প্রাণীদের জন্য মানুষের ব্যয় বাড়ছে। তাই নামী বিভিন্ন ব্রান্ডও এই খাতে বিনিয়োগ করছে।
খোদ যুক্তরাষ্ট্রে ই-কমার্স থেকে শুরু করে কাপড়ের ব্রান্ড সবখানেই রয়েছে পোষা প্রাণীদের পদচারণা। দেশটিতে ১০ হাজার কোটি ডলারের ব্যবসা হয়েছে পোশা প্রাণীদের দিয়ে। এশিয়াতেও পোষা প্রাণীদের জন্য বড় বাজার তৈরি হচ্ছে।