আজ ‘করোনা মুক্তি’ ও ‘স্বাধীনতা দিবস’ যৌথভাবে উদযাপন করবে যুক্তরাষ্ট্র

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পূর্ব ঘোষণানুযায়ী, ‘ভাইরাসের শাসন থেকে স্বাধীনতা’ উপলক্ষে আজ করোনা মুক্তি ও স্বাধীনতা দিবস যৌথভাবে উদযাপন করবে যুক্তরাষ্ট্র। জরুরি পরিষেবা ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুক্ত কয়েক হাজার অথিতির উপস্থিতিতে হোয়াইট হাউসের সাউথ লনে স্বাধীনতা দিবসের বিশাল পার্টির সাথে ন্যাশনাল মলে চলবে রাতভর বাজির উৎসব।

বিশ্বজুড়ে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর তালিকায় এখনও আমেরিকা শীর্ষে। ছয় লাখের বেশি মৃত্যু। এই বিপুল ক্ষতির পর উৎসবকে অনেকেই অযোক্তিক মনে করছেন। কিন্তু দেশটির সরকারের দাবি, এই ধাক্কা কাটিয়ে উঠে আমেরিকার অর্থনীতি ফের চাঙ্গা হচ্ছে বাইডেনের হাত ধরেই। সংক্রমণ এখন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে তার প্রচেষ্টাতেই।

সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের খামখেয়ালি ভাবনার হাত থেকে জনসাধারণকে বের করে এনে মাস্ক পরার প্রয়োজনীয়তা বুঝিয়েছেন বাইডেন। টিকার গতি বাড়িয়েছেন। বাইডেনের লক্ষ্য ছিল ৪ জুলাইয়ের মধ্যে প্রাপ্তবয়স্কদের ৭০ শতাংশের টিকা দেওয়ার কাজ শেষ করা। যদিও তা পূরণ করতে পারেননি তিনি।
হোয়াইট হাউসের দেওয়া এক বিবৃতিতে গতকাল শনিবার ডেল্টা স্ট্রেনের আতঙ্কের কথাও উল্লেখ করা হয়নি। জানা গেছে, আমেরিকার ৫০টি প্রদেশের প্রতিটিতে অতিসংক্রামক ডেল্টা স্ট্রেইন ধরা পড়েছে। এ অবস্থায় সাউথ লনের পার্টি কতটা নিরাপদ তা জানতে চাওয়া হলে প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি বলেন, ‘আপনার টিকা দেওয়া হয়ে গেলে আপনি নিরাপদ।’

এছাড়াও আমেরিকার শীর্ষস্থানীয় এপিডিমিয়োলজিস্ট অ্যান্টনি ফাউসিও এতে একমত প্রকাশ করছেন। ফাউসি বলেন, ‘ভ্যাকসিন নেওয়া থাকলে ভয় নেই। টিকা নেওয়া থাকলে আপনার কাছে যথেষ্ট নিরাপত্তা রয়েছে। কিন্তু টিকা না-নেওয়া থাকলে অবশ্যই মাস্ক পরুন। আর দ্রুত ভ্যাকসিন নিয়ে ফেলুন।’

Share this post

scroll to top