ময়মনসিংহে যুবলীগ কর্মীর বোনকে ধর্ষনের ঘটনায় সভাপতির বিরুদ্ধে মামলা

ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ছানাউল হক ওরফে হক মিয়ার বিরুদ্ধে দলের কর্মীর বোনকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। ময়মনসিংহ জেলা শিশু ও নারী নির্যাতন দমনের বিশেষ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।

অভিযুক্ত ছানাউল হক ওরফে হক মিয়া গৌরীপুর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও পৌর এলাকার গজন্দর গ্রামের মৃত জালাল উদ্দিনের ছেলে। অভিযোগকারী গৌরীপুর সরকারি কলেজের ছাত্রী। তিনি সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে জানা গেছে।

অভিযোগকারী, স্থানীয় সূত্র ও আদালতে লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, কলেজছাত্রীর ভাই ওয়ার্ড যুবলীগের সদস্য হওয়ায় ছানাউল প্রায়ই তাঁদের বাড়িতে যেতেন। চার বছর ধরে তাঁদের পরিচয়। এর মধ্যে কলেজে যাওয়া-আসার পথে এক ছেলে কলেজছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করতেন। এক পর্যায়ে ছেলেটি ফটোশপের মাধ্যমে তাঁর ও কলেজছাত্রীর ছবি একত্র করে নিজের ফেসবুক আইডিতে ছাড়েন। এ বিষয়ে ছাত্রী ঈশ্বরগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। এটির তদন্তের দায়িত্ব পায় ডিবি পুলিশ।

এ ঘটনায় সহযোগিতা করতে ২০১৭ সালের ২১ ডিসেম্বর ছানাউল তাঁকে ফোন করে বলেন, ডিবির তদন্ত কর্মকর্তা তাঁকে ময়মনসিংহে গিয়ে দেখা করতে বলেছেন। কথাটি বিশ্বাস করে তিনি ময়মনসিংহ গেলে তাঁকে একটি হোটেলে নিয়ে ধর্ষণ করেন ছানাউল। এতে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। পরে বিয়ে নিবন্ধন ও দ্রুতই দ্বিতীয়বার সন্তান নেওয়ার শর্তে তিনি দুই মাসের গর্ভ নষ্ট করেন। এরপর তাঁকে পাঁচ লাখ টাকা দেনমোহরের একটি কাবিননামা তুলে দেন ছানাউল।

এর মধ্যে ঢাকার গাজীপুর গিয়ে ভাড়াবাসায় বসবাস করা অবস্থায় ফের অন্তঃস্বত্বা হয়ে যান ওই ছাত্রী। চলতি বছরের ১২ মার্চ ঘটনাটি জানতে পেরে এটা তার নিজের সন্তান নয় বলে অস্বীকারের পাশপাশি আগের বিয়ের নিবন্ধনও ভুয়া বলে দাবি করেন ছানাউল হক।

ময়মনসিংহ পিবিআই পরিদর্শক মো. ফিরোজ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, তদন্ত শুরু হয়েছে। ওই কলেজ ছাত্রী অন্তঃস্বত্ত্বা হওয়ার সকল কাগজপত্র জমা দিয়েছেন। খুব দ্রুতই তদন্তকাজ শেষ করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।

Share this post

scroll to top