কঠোর লকডাউন নিয়ে যা বললেন ওবায়দুল কাদের

আশঙ্কাজনকভাবে বাড়তে থাকা করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সারা দেশে এক সপ্তাহের কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে ‘কঠোর লকডাউন’ বা ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ দিয়েছে সরকার। গেল বুধবার (৩০ জুন) সরকারের জারি করা প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, দেশজুড়ে সর্বাত্মক লকডাউন বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বহাল থাকবে ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত। এই সময়ে ‘অকারণে’ ঘরের বাইরে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে। এতে সাধারণ খেটে খাওয়া শ্রমজীবী এবং চাকরিজীবী মানুষরা বিপাকে পড়েছেন।

এ অবস্থায় নিরাপদ জীবনের জন্য করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আজ থেকে শুরু হওয়া কঠোর বিধিনিষেধসহ লকডাউনে সাময়িক অসুবিধা মেনে নিতে দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

ওবায়দুল কাদের বৃহস্পতিবার তার সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংকালে এ আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, করোনার সংক্রমণ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পৌঁছে যাওয়ায় জনগণের সুরক্ষায় শেখ হাসিনা সরকার বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে কঠোর লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অসহায়, কর্মহীন মানুষের জন্য সরকারের উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এবং সামর্থবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

দেশে নানা দুর্যোগে এবং সঙ্কটে প্রধানমন্ত্রী দক্ষতার সঙ্গে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তার (শেখ হাসিনা) সিদ্ধান্ত জনগণের কল্যাণে নিবেদিত।

গত কয়েকদিনে করোনায় ধারাবাহিকভাবে শতাধিক মৃত্যু এবং উচ্চমাত্রায় সংক্রমণ ভয়ানক অবস্থার ইঙ্গিত দিচ্ছে, এমন অবস্থায় সচেতনতা ও সতর্কতার সর্বোচ্চ ডিগ্রি অনুসরণ করা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

জীবিকার আগে জীবনের সুরক্ষা, অতীতে আমরা জাতি হিসেবে কখনো কখনো কঠিন সময় অতিক্রম করেছি উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, শেখ হাসিনার মানবিক ও দক্ষ নেতৃত্বে এ কঠিন পরীক্ষায়ও উত্তীর্ণ হব, ইনশাআল্লাহ।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশা প্রকাশ করে বলেন, এ আঁধার কেটে যাবে, সুদিন আসবে তবে তার আগে ঘরে ঘরে সতর্কতার দুর্গ গড়ে তুলতে হবে।

যে কোনো সঙ্কট উত্তরণে প্রয়োজন ধৈর্য্যসহকারে ঐকবদ্ধ থাকা, তাই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সবাইকে ঐক্যের মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে স্বাস্থ্য সচেতনতার মধ্য দিয়ে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা করার আহবান জানান।

ওবায়দুল কাদের বলেন, জীবনের সুরক্ষার অনিবার্য প্রয়োজনেই এ লকডাউন। লকডাউনে অনেক অসহায় ও খেটে খাওয়া মানুষ সঙ্কটে পড়েছে, কিন্তু সরকার এই বিষয়ে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, কোনো অসহায় মানুষ যাতে কষ্ট না পায়, না খেয়ে থাকে, এজন্য শেখ হাসিনা সরকার যথাযথ পদক্ষেপ নিয়েছে।

ত্রাণ সামগ্রী দিতে গিয়ে যাতে নিম্ন আয় ও ভাসমান মানুষ কোনোভাবেই যেন বাদ না পড়ে এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও দলের নেতাকর্মীদের যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।

প্রয়োজনে ঘরে ঘরে গিয়ে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দিতে হবে এবং শতভাগ মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।

Share this post

scroll to top