কাশ্মিরের মানুষের পাশে আছি: ইমরান খান

কাশ্মিরের মানুষের পাশে থাকার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। বুধবার পার্লামেন্টে দেওয়া ভাষণে এ ইস্যুতে নিজ দেশের অবস্থান আবারও স্পষ্ট করেন তিনি। খবর জিও নিউজের।

২০১৯ সালের আগস্টে কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসন ও বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করে নেয় ভারত সরকার। এ ঘটনায় ইসলামাবাদের সঙ্গে দিল্লির সম্পর্কে নতুন করে টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়।

বুধবার পার্লামেন্টে দেওয়া ভাষণে ভারত অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মিরের জনগণের অধিকারের প্রতি সমর্থন জানিয়ে ইমরান খান বলেন, পাকিস্তান তাদের পাশে রয়েছে এবং ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট গৃহীত ‘অবৈধ পদক্ষেপগুলো’ প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত দিল্লির সঙ্গে কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করা হবে না।

এদিন আফগানিস্তান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অংশীদারিত্ব নিয়েও কথা বলেন ইমরান খান। বলেন, তার দেশ শান্তির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদার হতে পারে। তবে কোনও অবস্থাতেই সেটা সংঘাতের জন্য নয়। সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, দেশের সার্বভৌমত্বের সঙ্গে কোনো আপস করা হবে না।

পাকিস্তানের সরকার প্রধান বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে পরাজিত হয়েছে এবং তারা তাদের পরাজয়ের দায় আমাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালিয়েছে।

তিনি বলেন, আফগানিস্তানের মানুষ পাকিস্তানিদের ভাই। ফলে তাদের সম্পর্কে ওয়াশিংটনের চেয়ে ইসলামাবাদের বোঝাপড়া বেশি।

ইমরান খান বলেন, যুক্তরাষ্ট্র তালেবানকে আলোচনার টেবিলে বসাতে পাকিস্তানকে বাধ্য করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু কৌশলগত অবস্থানের চেয়ে আমরা বরং আফগানিস্তানের মানুষের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাবো। আমরা শুধু আফগানিস্তানে শান্তি চাই এবং এটিই আমাদের সবচেয়ে বড় স্বার্থ।

তিনি বলেন, ইতোপূর্বে ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে’ যুক্তরাষ্ট্রকে সহায়তার পথ বেছে নিয়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু পরে দেখা গেছে, আমরা আমাদের নিজেদের নাগরিকদেরই বন্দি করছি এবং পরবর্তীতে তাদের গুয়ানতানামো বে কারাগারে পাঠাচ্ছি। সাবেক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফ এটি স্বীকার করেছেন।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে আমরা আমাদের ৭০ হাজার মানুষকে হারিয়েছি। ১৫০ বিলিয়ন ডলার নষ্ট করেছি।’

ইমরান খান বলেন, সেই সময়ে পাকিস্তান তার বন্ধু ও শত্রুদের মধ্যে পার্থক্য করতে পারেনি। তিনি প্রশ্ন রাখেন, একটা দেশ কি তার মিত্রদের ওপর হামলা চালায়?

তিনি বলেন, তৎকালীন সরকারের যুক্তরাষ্ট্রের মুখের ওপর না বলার মতো সাহস ছিল না এবং তারা নিজ দেশের মানুষের কাছে মিথ্যা বলেছিল।

তার ভাষায়, ‘আমাদের অবশ্যই এটা বুঝতে হবে যে কোনো জাতি যখন তার নিজেকেই সম্মান করে না, তখন বাইরের দুনিয়াও তাকে সম্মান করে না।

Share this post

scroll to top