দেশব্যাপী করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকারীভাবে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে চলছে বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের কার্যক্রম। দূরপাল্লার পরিবহন ব্যবস্থাও বন্ধ। বাড়ি যাওয়া নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় ছিল জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তাদের অভিভাবকরাও ছিলেন উদ্বিগ্ন। এমনি পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের বিশ^বিদ্যালয়ের বাসে করে প্রত্যেক বিভাগীয় শহরে পৌঁছে দেওয়ার ঘোষনা দেন মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান। তাঁর বলিষ্ঠ নির্দেশনায় ক্যাম্পাসে আটকে পড়া শিক্ষার্থীদের বিশ^বিদ্যালয়ের গাড়িতে করে বাড়ি পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের অভিভাবক। অভিভাবকের অন্যতম দায়িত্ব সন্তানদের খোঁজ খবর রাখা। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। সেই দায়বদ্ধতা থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আটকে পড়া শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে সহায়তা করেছে।
শিক্ষার্থীদের বিভাগীয় শহরে পৌঁছে দেওয়ার এই উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়নে সার্বিক সহযোগিতার জন্য বিশ^বিদ্যালয়ের মাননীয় ট্রেজারার, রেজিস্ট্রার, প্রক্টরিয়াল বডি, সকল বিভাগীয় প্রধানগণ, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ, প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক সমিতির নেতৃবৃন্দের প্রতি মাননীয় উপাচার্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
প্রশাসনের নির্দেশনা বাস্তবায়নে নিরলস পরিশ্রম করে পরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসক ড. মো: আরিফুর রহমান। বিভাগভিত্তিক শিক্ষার্থীদের সংখ্যা নির্ধারণ, বাসরুট ও শিডিউল প্রস্তুত করণসহ নানাবিধ কাজ করতে হয়েছে তাঁর দপ্তরকে। অবশেষে সোমবার (২৮ জুন ২০২১) সকালে ক্যম্পাস থেকে গাড়িগুলো বিভাগীয় শহরের উদ্দেশে রওনা দেয়।
পরিবহন প্রশাসক ড. মো: আরিফুর রহমান বলেন, সাতটি রুটে আমাদের ১৫টি বাসে প্রায় ৮ শতাধিক শিক্ষার্থী স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাড়ি যাচ্ছে। এখন তারা নিরাপদে বাসায় পৌঁছাক সেটাই আমাদের চাওয়া। এই কাজে সার্বিক সহযোগিতার জন্য বিশ^বিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্যসহ সংশ্লিস্ট অন্যান্য সকলের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞতা জানান।
পরিবহন দপ্তরসূত্রে জানা গেছে, ১৫টি বাসের মধ্যে অর্ধেক বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব অন্যগুলো ভাড়ায় আনানো। বাসগুলো দেশের বিভাগীয় শহর পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের পৌঁছে দিয়ে আসবে।
প্রসঙ্গত, সদ্য ঘোষিত লকডাউনের আগে সারাদেশ থেকে প্রায় হাজার খানেক শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে আসেন। তারা স্ব স্ব বিভাগের অর্ন্তগত সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষায় অংশ নেন। পরীক্ষা চলাকালীন লকডাউনের ঘোষণা আসায় পরীক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেলে শিক্ষার্থীরা আটকে পড়েন।