ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে নিজ মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠেছে এক লম্পট পিতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় (২৭ জুন) রবিবার সকালে হালুয়াঘাট থানা পুলিশ অভিযুক্তকে আটক করেছে। আটক আমতৈল ইউনিয়নের বাসিন্দা।
অভিযুক্ত চাচা জানান, প্রায় ৮ বছর আগে অভিযুক্তের স্ত্রী সংসার ছেড়ে চলে যান। ওই ব্যক্তি প্রায় সময় নেশা পান করতেন। মানুষের সঙ্গে তার ভালো সম্পর্ক ছিল না। তার দু’ছেলে ও ১৫ বছরের এক কিশোরী রয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরে তিনি তার মেয়ের ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা শুরু করেন। কিন্তু এলাকার স্থানীয়রা বিষয়টি বুঝতে পারেননি। তিনি বলেন, ‘আজ সকালে অভিযুক্তের মা আমাকে ধর্ষণের বিষয়টি খুলে বললে আমি চেয়ারম্যানকে জানাই। পরে তাকে ঘরে আটকে রাখি। আমরা গ্রামবাসীরা মিলে পুলিশের হাতে তাকে উঠিয়ে দেই। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচার দাবি করি।’
ভুক্তভোগী ১৫ বছর বয়সী ওই তরুণী বলে, ‘গত মঙ্গলবার দুপুরে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে আমার বাবা আমাকে জোর করে ধর্ষণ করে। এ ঘটনা যেন কাউকে না বলি সে জন্য সে আমাকে শারীরিক নির্যাতন করে। আমি বাড়ি থেকে বের হলেই আমার ওপর চলতো নির্যাতন। গতকাল শনিবার আমি আমার কাকার বাড়িতে গিয়েছিলাম। সে জন্য আমার বাবা আমাকে ইচ্ছে মতো মারধর করে। বিষয়টি পরে আমি আমার দাদিকে জানাই। পরে আমার দাদা ও প্রতিবেশীরা এসে বাবাকে আটক করে রাখে। আমি আমার বাবার কঠিন বিচার চাই। যেন আর কোনো বাবা তার মেয়ের সঙ্গে এমন কাজ করতে না পারে।’
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান শফিক বলেন, ‘রবিবার সকালে আমি স্থানীয়দের কাছে এ সংবাদটি শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হওয়ার পর আমি পুলিশকে জানাই। পুলিশ এসে লম্পটকে আটক করে।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত মেডিক্যাল অফিসার ইসরাত জাহান বলেন, ‘দুপুরে ওই মেয়েকে নিয়ে পুলিশ হাসপাতালে আসে। আমি প্রাথমিক পর্যায়ে পরীক্ষা করেছি। মেয়ের পায়ে ও হাতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ডিএনএ টেস্টের জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর জন্য বলেছি।’
হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদুল হাসান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘রবিবার সকালে সংবাদ পাওয়ার আমরা অভিযুক্ত আসামি মোস্তফাকে আটক করি। এ বিষয়ে হালুয়াঘাট থানায় ধর্ষণ মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’