আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে নিজেদের সিদ্ধান্তে কিছুটা পরিবর্তন আনল মার্কিন প্রশাসন। এই মুহূর্তে সব সেনা দেশে ফিরিয়ে নেবে না আমেরিকা। বরং ৬৫০ জনের একটি সৈন্য দল সেখানে থেকে যাবে। খবর এপির।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদনে বলা হয়, মূল সেনাবাহিনী আফগানিস্তান থেকে প্রত্যাহারের পর কূটনীতিকদের নিরাপত্তার জন্য ৬৫০ জনের সৈন্য দল সেখানে থেকে যাবে।
তারা আরও জানান, তুরস্ক নেতৃত্বাধীন নিরাপত্তা অভিযান শুরু না হওয়া পর্যন্ত সাময়িক পদক্ষেপ হিসেবে তুর্কি সৈন্যদের নিরাপত্তার জন্য সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আমেরিকার কয়েকশ’ অতিরিক্ত সেনা কাবুল বিমানবন্দরে থাকবে।
কর্মকর্তারা বলছেন, সামগ্রিকভাবে যুক্তরাষ্ট্র, জোটের সামরিক কমান্ড এবং বেশির ভাগ সেনা ৪ জুলাইয়ের মধ্যে বা তার পরপরই আফগানিস্তান থেকে বেরিয়ে যাবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কর্মকর্তারা জানান, সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেওয়ার অনুমতি তাদের দেওয়া হয়নি।
এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ঘোষণা দেন, ২০ বছরের সামরিক সংশ্লিষ্টতার পর আমেরিকান সৈন্যরা ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই আফগানিস্তান ত্যাগ করবে। এরপর একই ঘোষণা দেয় ন্যাটো বাহিনী।
ঘোষণা অনুযায়ী, ১ মে যুক্তরাষ্ট্র সৈন্য প্রত্যাহার শুরু করে। সে দিন থেকে একাধিক সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে আফগানিস্তানে, নিহত ও আহত হয়েছে অসংখ্য বেসামরিক মানুষ।
এসব কারণে আশঙ্কা করা হচ্ছে, কয়েক মাসের মধ্যে আফগান সরকার ও তার সেনাবাহিনী বেহাল পরিস্থিতির মুখোমুখি হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বারবার জোর দিয়ে বলছেন, আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক কর্মীদের জন্য কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিরাপত্তা অত্যন্ত জরুরি। এ বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্ব তুরস্ক নিতে চাইলেও সম্প্রতি এর বিরুদ্ধে কড়া জবাব দিয়েছে তালিবান।
এদিকে সেনা প্রত্যাহার পরবর্তী সময়ে এ অঞ্চলে সন্ত্রাসী বিরোধী তৎপরতা চালানোর জন্য পাকিস্তানে ঘাঁটি স্থাপন নিয়ে সম্প্রতি তৎপরতা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু প্রস্তাবটি শুরুতেই নাকচ করে দেয় ইসলামাবাদ। কয়েক দিন আগে মার্কিন পত্রিকায় নিজের লেখা নিবন্ধে সেই সিদ্ধান্ত পুনরায় ব্যক্ত করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।