নাটোরের নিখোঁজ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এবং বর্তমানে জেলা যুবলীগের প্রস্তাবিত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক জামিল হোসেন মিলনের সন্ধানের দাবিতে রোববার বিকেলে তার অনুসারী সহস্রাধিক নেতাকর্মী ও আত্মীয়-স্বজন মাথায় কাফনের কাপড় বেধে বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
শহরের তালতলা হাফরাস্তা মোড় থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে নাটোর প্রেসক্লাবের সামনের মহাসড়কে সমবেত হয় এবং মানববন্ধন করে। মানববন্ধনের সময় শহরে সবধরণের যানবাহন বন্ধ রাখায় শহরের দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ মুর্তজা আলী বাবলু, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন বিপ্লব, জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক দিলীপ কুমার দাস, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল ওয়াহাব ও সদর উপজেলা সাধারণ সম্পাদক ও নাটোর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রভাষক আনোয়ার হোসেন আনু।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, অবিলম্বে প্রশাসনকে নিখোঁজ মিলনকে সুস্থ্য অবস্থায় উদ্ধার করে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে।
মিলনের পিতা শহরের তালতলা হাফরাস্তা এলাকার এমদাদুল হক মিয়াজি বলেছেন, মিলনকে তুলে নেওয়ার পর থেকে গত তিন দিনে তিনি রাজশাহী বিভাগের প্রতিটি র্যাব কার্যালয় এবং থানাসমূহে খোঁজ নিয়ে ছেলের কোন সন্ধান পাননি।
ঘটনার পর থেকে তার সমর্থকরা নিয়মিত নাটোর শহরের বিক্ষোভ মিছিল, হরতাল, মানববন্ধন, সড়ক অবরোধসহ নানা কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছে।
এদিকে স্থানীয় সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের প্রিয়ভাজন যুবলীগ নেতা জামিল হোসেন মিলন নিখোঁজ হওয়ায় চাপা আতঙ্ক ও থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে।
নাটোরে পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুন ও নাটোর র্যাব-৫ ক্যাম্পের কমান্ডার যায়েদ শাহরিয়ার জানান, তারা সকল প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে নিখোঁজ জামিল হোসেন মিলনের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ ও তাকে উদ্ধারের সব ধরণের চেষ্টা চালাচ্ছেন। তবে গত তিনদিনে অনেক প্রচেষ্ঠার পরও এখন পর্যন্ত মিলনের কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি।