নেত্রকোনায় পূর্বশত্রুতার জেরে চা স্টলের চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে আনোয়ার হোসেন (২৫) নামের এক যুবক খুন হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন তার বাবা মকবুল হোসেন (৫৫) এবং চাচাতো ভাই ও আব্দুর রহমানের ছেলে মনির (২৫)।
বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে দুর্গাপুর উপজেলার চন্ডিগড় ইউনিয়নে বড়িহন্দ বাজারে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে।
আহত দুজনকে প্রথমে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে সেখান থেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
নিহত ও আহত দুজন কলমাকান্দার উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নে আনন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা। নিহতের বাবা আহত মকবুল হোসেন অবসরপ্রাপ্ত বিজিবি’র (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) সদস্য ছিলেন।
জানা যায়, দুর্গাপুরের বড়িহন্দ ও কলমাকান্দার আনন্দপুর গ্রাম এই গ্রামের সীমানা সংলগ্ন স্থানীয় কবরস্থানকে কেন্দ্র করে পূর্ব থেকে দুই পক্ষের মাঝে বিরোধ চলে আসছিল। প্রায় তিন বছর আগে এ বিষয়কে কেন্দ্র উভয় পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে এবং এ নিয়ে মামলাও হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পরে আনোয়ার বড়িহন্দি বাজারে একটি চায়ের স্টলের চেয়ারে বসেছিলেন। এ বসাকে কেন্দ্র করে বড়িহন্দি গ্রামের মরম আলীর ছেলে জুয়েল আনোয়ারের সাথে বাকবিতন্ডায় লিপ্ত হয়।
পরে জুয়েল বাড়ি থেকে ছুরি এনে তার বাবা মরম আলী, ভাই সোহেলসহ আনোয়ারকে ছুরিকাঘাত করে। এতে আনোয়ার মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। খবর পেয়ে বাজারে থাকা আনোয়ারের বাবা মকবুল ও চাচাতো ভাই মনির এর প্রতিবাদ করলে তাদেরকেও ছুরিকাঘাত করে।
পরে স্থানীয়দের সহায়তায় তিনজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে রাত সোয়া ৯টার দিকে দুর্গাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে আহতদের স্বজনেরা। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক আনোয়ারকে মৃত ঘোষণা করেন এবং আহত দুজনকে ময়মনসিংহ হাসপাতালে পাঠান।
দুর্গাপুর থানার ওসি শাহনুর-এ আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আহতদের ময়মনসিংহ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহতের লাশ সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে থানা হেফাজতে আনা হয়েছে। শুক্রবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হবে। এরই মধ্যে আলামত সংগ্রহ করতে ঘটনাস্থলে পুলিশ রয়েছে ও অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।