২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট, হাঙ্গেরির মাঠে ৬৩ মিনিটে জাতীয় দলে অভিষেক হয়েছিল লিওনেল মেসির। মাত্র দুই মিনিট পর লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। দিনটাকে ভুলে যেতে চেয়েছিলেন তিনি। তাই তো পরের মাসে প্যারাগুয়ের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচকে ‘পুনঃঅভিষেক’ বলেছিলেন ১৮ বছর বয়সী তরুণ। সেই প্যারাগুয়ের বিপক্ষে মঙ্গলবার মাঠে নামলেই ইতিহাস গড়বেন ছয়বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী।
আর্জেন্টিনার কোপা আমেরিকার তৃতীয় ম্যাচের প্রতিপক্ষ প্যারাগুয়ে। এই ম্যাচ খেলতে নামলেই দেশের হয়ে সর্বাধিক ম্যাচ খেলা হাভিয়ের মাসচেরানোকে স্পর্শ করবেন মেসি। এটি হতে যাচ্ছে তার ১৪৭তম আন্তর্জাতিক ম্যাচ। ২০১৪ সালের বিশ্বকাপ খেলে আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানান মাসচেরানো। এবার তার পাশে বসতে যাচ্ছেন বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড। বলিভিয়ার বিপক্ষে আগামী মঙ্গলবারের ম্যাচে রেকর্ডটি একার করে নিতে পারবেন তিনি।
প্রায় ১৬ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে মেসি সর্বকালের শীর্ষ গোলদাতার আসনে বসেছেন আরও আগেই। ৭৩ গোলের মালিক তিনি। এবার গড়তে যাচ্ছেন আর্জেন্টিনার হয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার কীর্তি। কিন্তু আক্ষেপ থেকেই গেছে একটি আন্তর্জাতিক ট্রফি না জেতার। চারটি বিশ্বকাপ ও ছয়টি কোপা আমেরিকা খেলেও জিততে পারেননি আকাঙ্ক্ষিত শিরোপা। ২০১৫ ও ২০১৬ সালে কোপা আমেরিকায় পরপর দুইবার ফাইনালে হার। তারও আগে ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে ফাইনালে জার্মানির কাছে পরাজয়। দ্বিতীয়বার কোপা ফাইনাল হারের পর তো ক্ষোভে-অভিমানে অবসরই নিয়ে ফেলেছিলেন।
তবে ট্রফির ক্ষুধা নিয়ে আবারও ফিরেছেন জাতীয় দলের জার্সিতে এবং এখনও অধরা শিরোপা ছুঁয়ে দেখার স্বপ্ন দেখেন। সেই অভিলাষ নিয়েই এবারও নেমেছেন কোপায়। এখন দেখার অপেক্ষা, মেসির হাতে ট্রফিটা ওঠে কি না!