ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের স্বরসতী নদীর উপর এলজিএসপির প্রায় ৩ লাখ টাকায় কাঠের সেতু নির্মান করেন সাবেক চেয়ারম্যান মনির উদ্দিন। তখন সেতুর উপর দিয়ে ভ্যান রিকশা মানুষ যাতায়াত করত। বর্তমান চেয়ারম্যান শাহিনুর মল্ল্কি জীবন এ পর্যন্ত দুইবার এলজিএসপির টাকায় কাঠের সেতু সংস্কার করলেও সেতুর উপর বাঁশের বেড়া দেয়া হয়েছে। সেতু সংস্কারের অর্থ লোপাটের ঘটনায় এলাকায় ক্ষোভ বিরাজ করছে।
উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের ফরিদের পাড় ও উল্ল্রাচালাকে বিভক্ত করেছে স্বরসতী নদী। সাবেক চেয়ারম্যান তার শেষ সময়ে এলজিএসপির প্রায় ৩ লাখ টাকা দিয়ে নদীর উপর একটি কাঠের সেতু নির্মান করেন। সে সময় সেতুর উপর দিয়ে ভ্যান রিকশাসহ মানুষ অবাধে যাতায়াত করত। বর্তমান চেয়ারম্যান শাহীনুর মল্লিক জীবন ২০১৬-১৭ সনের অর্থ বছরে এলজিএসপি-২ প্রকল্প দিয়ে এক লাখ টাকা ও ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে এলজিএসপির অর্থ বছরে ১ লাখ ৪ হাজার ৮৭১ টাকা দিয়ে সেতুটি সংস্কারের নামে অর্থ লুপাট করেন। সংস্কারের নামে চেয়ারম্যান ১২ টি বাঁশের খুঁটি ও ৪০ টি কাঠের তক্তা পরিবর্তন করেছেন। তক্তাগুলো সেন্টারিংয়ের কাজ করার পর ঐ কাঠের সেতুতে লাগানো হয়েছে। হেলছুর ইসলাম নামের এক ব্যক্তি জানান, আমি প্রতিদিন সেতু পাড় হয়ে ঐ পাড়ে মসজিদে আজান দিয়ে থাকি। এক বছর আগে নামমাত্র কাজ করে একটি সেতু সংস্কারের সাইনবোর্ড চেয়ারম্যান কাঁঠাল গাছে লাগিয়ে ছিলেন এলাকাবাসী সে সাইনবোর্ড ক্ষোভে ভেঙ্গে ফেলেছিল। এবার ব্রিজের গোড়ায় পাকা করে সেতু সংস্কারে সাইন বোর্ড স্থাপন করেছেন। এক সময় সেতুর উপর দিয়ে ভ্যান গাড়ী মালামাল নিয়ে আসা যাওয়া করতো। সংস্কারের পর ব্রিজের উপর বাঁশের বেড়া দিয়ে ভ্যান, রিকশা, মোটরসাইকেলসহ সকল যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন। এখন মানুষ পায়ে হেঁটে সেতুটি পাড় হয় শুধু। উল্লারচালা গ্রামের দুদু মিয়া জানান, সেতু সংস্কারে চেয়ারম্যান সেন্টারিংয়ের পুরাতন তক্তা ব্যবহার করেছেন। কয়দিন পড়েই তা নষ্ট হয়ে যাবে। ৭ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী শাহীন আলম জানান, সেতুর উপর দিয়ে পায়ে হেঁটে গেলেও এখন ভয় করে।
ফরিদের পাড় উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হারুনুর রশিদ জানান, দুই গ্রামের ৩ টি শ্ক্ষিা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী যাতায়াত করে থাকেন। সেতু সংস্কারে আরও গুরুত্ব দেয়া উচিত ছিল।
উল্লারচালা গ্রামের ৭ নং ওয়ার্ড মেম্বার হুমায়ুন কবীর জানান, আমার ওয়ার্ডে সেতু সংস্কারের খবর আমি জানি না। চেয়ারম্যান নিজে সেতু সংস্কার করেছে। কাজের ভালমন্দের দায়ভার চেয়ারম্যানের।
ভবানীপুর ইউপি চেয়ারম্যান শাহিনুর মল্লিক জীবন অবশ্য সেতুটি একবার সংস্কারের কথা স্বীকার করেছেন। সেতুর পাটাতনে সেন্টারিংয়ের তক্তা ব্যবহারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোন সদোত্তর পারেন নাই।