বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে আশুলিয়ায় মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির নবাগত শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ ও পূনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় আশুলিয়ার মডেল টাউনে বিশ্বদ্যিালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের খেলার মাঠে এক জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে নবীন শিক্ষার্থীদের সুবাসিত লাল গোলাপ অর্পনের মাধ্যমে বরণ করে নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রোজারার ও ভারপ্রাপ্ত ভাইস চ্যান্সেলর হাফিজুল ইসলাম মিয়ার সভাপতিত্বে নবীন বরণ ও পূণর্মিলনীতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডাঃ এনামুর রহমান, এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান সাবেক সচিব শাহ আব্দুল হান্নান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন রেজিষ্ট্রার ও সাবেক সচিব মনিরুল ইসলাম।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হামিম জাবির মিয়াজীর সুললিত কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে নবীনবরণ ও পুণর্মিলনী অনুষ্ঠান শুরু হয়। নবীন শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ফার্মেসী বিভাগের ১ম সেমিষ্টার শিক্ষার্থী সুমাইয়া সারা ও কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের ১ম সেমিষ্টার এর শিক্ষার্থী রিফাত।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি সদস্য প্রফেসর এ.টি.এম ফজলুল হক, প্রফেসর ড. চৌধুরী মাহমুদ হাসান, প্রফেসর ড. এম উমার আলী, প্রফেসর ড, এম মোজাম্মেল হক ও ব্যারিস্টার ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্স এন্ড টেকনোলজির ডীন প্রফেসর ড. এম কোরবান আলী, স্কুল অব আর্টস অ্যান্ড হিউম্যানিটিসের ডীন প্রফেসর হেমায়েত হোসাইন খান, স্কুল বিজনেস অ্যান্ড ইকোনোমিকসের ডীন প্রফেসর এম. হারুন অর রশিদ, সাভার প্রেস ক্লাবের সভাপতি নাজমুস সাকিব, আশুলিয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোজাফ্ফর হোসাইন জয়, বিরুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান সুজন, বিরুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি হাজী আবদুল হালিম ও সাধারণ সম্পাদক আবদুস সামাদ মেম্বার প্রমুখ।
বক্তব্যে প্রধান অতিথি বলেন, মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি তার সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে গুণগত শিক্ষা নিশ্চিতে করে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এসময় শিক্ষার্থীদের দাবির আলোকে আশুলিয়া-বিরুলিয়া সড়ককে ৪ লেনে উন্নীত করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া খালটির দূষণমুক্ত করার ব্যাপারে শীঘ্রই উদ্যোগ নেয়ার ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করেন। যেকোন প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়টির পাশে থেকে উন্নয়ন করারও আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি। তিনি নতুন নতুন বিভাগ খুলে শিক্ষার্থীদের সুযোগ দেয়া ও তাদের দেশ গঠনে কাজ করার ওপরেও গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানের শেষ অংশে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। নবীন বরণ ও পুণর্মিলনী ঘিরে বর্ণিল সাজে সাজানো হয় বিশ্ববিদ্যালয়টির স্থায়ী এ ক্যাম্পাস।