জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে হোটেলের নিম্নমানের খাবার খেয়ে শিশু ও নারীসহ অর্ধশতাধিক মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। রোববার (৬ জুন) দুপুর থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত পৌরসভার পঞ্চপীর এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানান এলাকাবাসী।
স্থানীয় ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, সরিষাবাড়ী পৌরসভার পঞ্চপীর বাজার এলাকার লালু মিয়ার দোকানে সকালে নাস্তা করতে যায় ঐ এলাকার বেশকিছু মানুষ। দুপুরের পর থেকে তাদের পেট ব্যথা, বমি ও ডায়রিয়ার লক্ষণ দেখা দিলে গুরুতর অবস্থায় একে একে সবাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হতে থাকে। তাদের মধ্যে শিশু ও নারী সংখ্যায় বেশি।
হাসপাতালে চিকিৎসারত রোগীরা হলেন- সুমি, আব্দুল আজিজ, ফাতেমা বেগম, লাল ভানু, হোসনে আরা, ইয়নুস মিয়া, মনির উদ্দিন, শাহাজাহান, স্বাধীন মিয়া, জাকির হোসেন, রাতুল, মার্জয়া, তামিম, মিষ্টি, রিয়া মনি, সাব্বির হোসেন, জুবাইর, আলম মিয়া, বিদ্যুৎ, আব্দুল হক, মজনু মিয়া, সিয়াম, আজিজুল, সিরাজ উদ্দিন, লাল মিয়া, জামিনুর, রাকিব মিয়া, ফাহাদ, ফরিদ মিয়া, তারা মিয়া, আশরাফ ফারুকী। এ ছাড়াও গুরুতর অসুস্থদের জামালপুর সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
পঞ্চপীর এলাকা থেকে চিকিৎসা নিতে আসা শিশু মিষ্টি ও তানিয়ার মা সুমি বেগম জানান, আমার দুটি বাচ্চা তাদের দাদার সঙ্গে লালুর খাবার হোটেল সকালে নাস্তা করতে যায়। নাস্তা খেয়ে বাড়ি ফিরলে পেট ব্যথা, বমি ও ডায়রিয়া শুরু হয়। অবস্থা গুরুতর দেখা দিলে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। নিম্নমানের ও পচা-বাসী খাবারের কারণে এ অবস্থা হয়েছে। সঠিকভাবে খাবারের দোকানগুলো দায়িত্ববান লোকেরা দেখা শুনা করলে এসব হতো না।
এছাড়াও বাউসি থেকে চিকিৎসা নিতে আসা মজনু মিয়া, সিরাজ উদ্দিন, জামিনুরসহ আরও অনেকেই বলেন, লালুর দোকানে নিম্নমানের খাবার ছিল। রুটি ও ডাল খেয়ে বমি শুরু হলে হাসপাতালে আসি।
হোটেল মালিক লালু মিয়া বলেন, অনেক বছর ধরে হোটেল ব্যবসা করি। এ রকম ঘটনা কখনো হয়নি। ময়দা ও তেল বাউসি বাজারের মুদি দোকানি বাসেদের কাছ থেকে ক্রয় করে এনেছি। সমস্যা হলে তার দোকানের পণ্যতে হতে পারে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক আরিফুল ইসলাম বলেন, দুপুরের পর থেকেই পেট ব্যথা, বমি ও ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী আসতে থাকে হাসপাতালে। মধ্য রাত পর্যন্ত রোগী আসছে। তাদের সবাইকে ভর্তি করিয়ে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। খাবার নিম্নমান ও ফুড পয়জনের কারণে এটা হতে পারে বলে জানান তিনি।