শীঘ্রই নগরবাসীর জন্য সর্বশেষ এসেসমেন্টে নির্ধারিত হোল্ডিং ট্যাক্স কমানো ও আপত্তি ফরমের মূল্য হ্রাসের বিষয়ে সক্রিয় বিবেচনা করে সুখবর দিবেন ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ ইকরামুল হক টিটু।
এনিয়ে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের শহীদ শাহাবুদ্দিন মিলনায়তনে মেয়র ইকরামুল হক টিটু মতবিনিময়কালে নগরবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বদান্যতায় আমরা পেয়েছি ময়মনসিংহ বিভাগ পরবর্তীতে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন। সিটি এলাকার আয়তন বহুগুন বৃদ্ধি হয়েছে এবং পূর্বে র তুলনায় অধিক জনবল নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। অনেক কর্মকর্তা নগরবাসির সেবা নিশ্চিতে প্রেষণে কাজ করছেন। এতে সিটি কর্পোরেশনের ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি আরো জানান, সিটির উন্নয়নে যেসব উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয় তাতে মোট বরাদ্দের ১০-২০ ভাগ কন্ট্রিবিউশান মানি প্রদান করতে হয় যা সিটি কর্পোরেশনের রাজস্ব থেকে পরিশোধ করতে হয়। আগামীতে বাস-ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ, আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, বিদ্যুতায়ন, স্যানিটেশন ইত্যাদি প্রকল্পে দেড় শত থেকে তিন শত কোটি টাকা খরচ হবে, যা নাগরিকগণের ট্যাক্স থেকে পরিশোধ করা হবে।
এ সভায় জেলা নাগরিক আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ হোল্ডিং ট্যাক্স হ্রাস করে তা পুননির্ধারণ এবং আপত্তি ফর্মের মূল্য হ্রাসকরণের দাবী সম্বলিত স্মারক মেয়রের নিকট পেশ করেন। প্রাপ্ত স্মারক, উপস্থিত সামাজিক-রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের বক্তব্য এবং সাধারণ জনগণের কথা বিবেচনা করে মেয়র জানান, আগামী ১০ দিনের মধ্যে রাজস্ব কামিটি ও রিভিউ কমিটির কাছ থেকে সংক্ষিপ্ত প্রস্তাবনা নিয়ে সিটি কর্পোরেশনের পরিষদের মাধ্যমে হোল্ডিং ট্যাক্স পূনঃনির্ধারণ এবং আপত্তি ফরমের মূল্য হ্রাসের বিষয়ে সক্রিয় বিবেচনা করা হবে।
এ সময় তিনি আরো বলেন, আমি এ শহরের সন্তান, এই শহরের নাগরিক। এ শহরকে আপনাদের স্বপ্নের নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে যে পবিত্র দায়িত্ব দিয়েছেন তা আমি শতভাগ পালনের চেষ্টা করছি। কিন্তু মহামারী করোনা আমাদের অগ্রযাত্রাকে ধীর করে দিয়েছে। তারপরও করোনায় আপনাদের সুরক্ষা এবং অন্যান্য সেবা নিশ্চিত করার চেষ্টা আমরা করেছি।
নতুন সংযোজিত ওয়ার্ডসমূহ সম্পর্কে বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ডে নূন্যতম ৫ কোটি টাকার কাজের কার্যাদেশ প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া পুরো শহরের জলাবদ্ধতা অনেকাংশে নিরসন করা সম্ভব করা হয়েছে। সৌন্দর্যবর্ধণ করা হয়েছে, জয়নুর উদ্যানে বিনোদনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, সড়ক, বাতি ও অন্যন্য অবকাঠামো নির্মাণে গুরুত্বের সাথে কাজ করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, সিটি কর্পোরেশনে কোন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান নয়। সিটি কর্পোরেশন একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। আপনাদের দেওয়া ট্যাক্সে সে সেবা প্রদান করে থাকে সিটি কর্পোরেশন। তাই রাজস্বের অভাবে সিটি কর্পোরেশনের সেবা যেন বাধাগ্রস্থ না হয় সেদিকেও নজর রাখতে হবে।
সভায় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন হোল্ডিং ট্যাক্স নির্ধারণে সিটি কর্পোরেশন গৃহিত বিধি ও পদ্ধতিসমূহ তুলে ধরেন এবং উপস্থিত নাগরিক আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ এবং রাজনৈতিক-সামাজিক গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ তাদের মতামত উপস্থাপন করেন।সভায় ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ এহতেশামুল আলম সহ নাগরিক আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ ও সামাজিক-রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এছাড়া সভায় সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র ও অন্যান্য কাউন্সিলরবৃন্দ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা সেঁজুতি ধর, জেলা নাগরিক আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ এবং রাজনৈতিক সামাজিক গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।