করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে ভারত বিপর্যস্ত। সংক্রমণ ও মৃত্যুর মিছিলে গোটা ভারত এলোমেলো। এমন পরিস্থিতিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মতো মহাযজ্ঞ আয়োজন করা রীতিমত কঠিন সিদ্ধান্ত।
অক্টোবর-নভেম্বরে ভারত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিজ দেশে আয়োজন করতে পারবে কি না তা চূড়ান্তভাবে জানাতে ২৮ জুন পর্যন্ত সময় পেয়েছে। তবে টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবর, বিশ্বকাপ আয়োজনের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে ভারত। আইসিসিকে অভ্যন্তরীণভাবে নিজেদের সিদ্ধান্ত অবহিত করেছে বিসিসিআই। আইসিসিও তাদের সিদ্ধান্ত জানার পর ভেতরে ভেতরে বিশ্বকাপ আয়োজনের পরিকল্পনা সাজাচ্ছে।
সম্ভাব্য ভেন্যু হিসেবে আবুধাবি, দুবাই ও শারজাহকে বেছে নেওয়া হয়েছে। চতুর্থ ভেন্যু হিসেবে থাকছে ওমান। বিসিসিআইয়ের শীর্ষ কর্মকর্তা পিটিআই-কে বলছেন,‘হ্যাঁ, পহেলা জুন আইসিসির বোর্ড মিটিংয়ে বিসিসিআই চার সপ্তাহের সময় পেয়েছিল চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার। কিন্তু তখনই অভ্যন্তরীণ আলোচনায় আইসিসিকে জানিয়ে দেওয়া হয়, বিসিসিআই টুর্নামেন্টের স্বত্ব নিজেদের কাছে রাখবে এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমানে ম্যাচ আয়োজন করতে কোনো বাঁধা নেই।’
পাশাপাশি এটাও জানানো হয়, বিশ্বকাপের প্রথম পর্বের ম্যাচগুলি ওমানে আয়োজন করা হবে। এরপর সংযুক্ত আরব আমিরাতের তিনটি মাঠে মূল পর্বের খেলাগুলি হবে।
আইসিসির বোর্ড সভায় প্রশ্ন উঠেছিল, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ভারত বিপর্যস্ত। অক্টোবর-নভেম্বরে তৃতীয় ঢেউয়ে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে না সেই নিশ্চয়তা কী রয়েছে?
সংযুক্ত আরব আমিরাত গত বছর সফলভাবে আইপিএল আয়োজন করেছিল। এ বছর স্থগিত হওয়া আইপিএলের ৩১ ম্যাচ আয়োজন করবে তারা। পিএসএলও আয়োজন করা হচ্ছে সেখানে। ফলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মতো আয়োজন করা খুব একটা কঠিন হবে না।