মিয়ানমারে এইয়ারওয়াদি নদী এলাকায় সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছে। সেনাবাহিনী অস্ত্র উদ্ধারের নামে অভিযান চালালে গ্রামবাসী তীরধনুক ও গুলতি নিয়ে প্রতিরোধ শুরু করলে সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রায় দুই মাসের মধ্যে এটাই দেশটিতে একদিনে সবচেয়ে বেশি প্রাণঘাতী ঘটনা। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
গত ১ ফেব্রুয়ারি অং সান সু চির নির্বাচিত সরকার উৎখাত করে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করে নেওয়ার পর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে আছে মিয়ানমার। বিক্ষোভকারীদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনীর দমন-পীড়নে নিহত হয়েছে অন্তত ৮৪৫ জন। সম্প্রতি রাজপথে বিক্ষোভ শিথিল হয়ে আসলেও সশস্ত্র প্রতিরোধ বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন গৃহযুদ্ধের দিকে ধাবিত হচ্ছে মিয়ানমার।
শনিবার ভোরে মিয়ানমারের মূল শহর ইয়াঙ্গুন থেকে প্রায় দেড়শ’ কিলোমিটার দূরে হ্লাসোয়ে গ্রামে সেনাবাহিনী ও গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। স্থানীয় চারটি সংবাদমাধ্যম ও একজন স্থানীয় বাসিন্দার বরাতে সংঘর্ষের খবর দিয়েছে রয়টার্স। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাসিন্দা বলেন, গ্রামবাসীর কাছে শুধু গুলতি আর তীর-ধনুক ছিলো, সেই কারণে তারাই বেশি হতাহত হয়েছেন।
খিট থিট মিডিয়া এবং ডেল্টা নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন বেসামরিক নিহত এবং আরও অনেকে আহত হয়েছে। সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, সেনাবাহিনী অস্ত্র উদ্ধারের নামে অভিযান শুরু করলে প্রতিরোধ করে গ্রামবাসী।
মিয়ানমারে ধান উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত এইয়ারওয়াদি নদী এলাকা। এই অঞ্চলে নৃতাত্তিক জনগোষ্ঠীর মানুষেরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। এছাড়া কারেন সংখ্যালঘুদেরও বসবাস রয়েছে।