রাজধানীতে বজ্রপাতের সময় দুই শিশুসহ তিনজনের মৃত্যু

রাজধানীর মালিবাগে বজ্রপাতের সময় দুই শিশুসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে তাদের মৃত্যু কীভাবে হয়েছে- এ বিষয়ে নিশ্চিত করে কেউ কিছু বলতে পারেনি। কেউ বলছেন বজ্রপাতে, আবার কেউ বলছেন বজ্রপাতের ফলে ছিঁড়ে যাওয়া বৈদ্যুতিক তারে বিদ্যুৎস্পর্শে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে মালিবাগ এলাকার চৌধুরী পাড়ার সোনা মিয়া গলির সাজেদার টিনশেড বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। বাড়িটির অবস্থান চৌধুরী পাড়ার আবুল হোটেলের পেছনে।

চৌধুরী পাড়ায় নিহতদের প্রতিবেশিরা জানান, নিহতদের মধ্যে পাখি (৯) ও সোমা (১২) নামের দুই শিশু প্রতিবেশি। নিহত অন্যজন হলেন- আবদুল হক (৬৫)। শিশু পাখির মা কুলসুম বেগম পোশাক কারখানায় কাজ করেন। বাবা মহসিন রিকশাচালক। তাদের গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরের চর মানিকপুর গ্রামে। ঘটনার সময় তারা কেউই বাসায় ছিলেন না। ঘটনার পর পাখিকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সোমা ও আবদুল হককে নেওয়া হয় ওয়্যারলেস গেটে কমিউনিটি ক্লিনিকে। চিকিৎসক পরীক্ষা করে তাদেরও মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতদের প্রতিবেশি আকাশ আহমেদ জানান, টিনের চালের ওপর বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়ে বজ্রপাতের সময়। বাচ্চা দুটি তখন ঘরের বাইরে স্টিলের গেটের সামনে খেলছিল। তখন বাচ্চারা মাটিতে পড়ে গেলে আবদুল হক বাঁচাতে এসেছিলেন। তিনিও তখন মারা গেছেন। ঘটনার পর সোমা ও আবদুল হককে তিনি ওয়্যারলেস গেট কমিউনিটি ক্লিনিকে নিয়ে যান। সেখানে নেওয়ার পর চিকিৎসক জানান তারা মারা গেছেন।

নিহতদের আরেক প্রতিবেশি হাবিবুর রহমান পাখিকে সিএনজিতে করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। তিনি বলেন, বাইরে বৃষ্টির পানি জমেছিল। সেখানে দুই বোন খেলছিল। দুপুরে অনেক বেশি বজ্রপাত হচ্ছিল। তখনই এই দুর্ঘটনা ঘটে। পাখির শরীরে কোনো দাগ নেই। এ কারণে বলা যাচ্ছে না সে কীভাবে মারা গেছে। ঘটনার পর তিনজনকে স্থানীয় একটি ফার্মেসির সামনে রাখা অবস্থায় তিনি দেখেন। একটি সিএনজিতে করে পাখিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে নেওয়া হলে চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।

হাতিরঝিল থানার ওসি আবদুর রশীদ বলেন, দুপুরে বজ্রপাতের সময় দুই শিশুসহ তিনজন মারা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, বজ্রপাতেই তাদের মৃত্যু হয়েছে।

Share this post

scroll to top