সড়ক দুর্ঘটনায় শীর্ষে ঢাকা বিভাগ, কম ময়মনসিংহে

দুর্ঘটনা-Accident

গত মে মাসে দেশে ৪৪১টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫৬২ ও আহত হয়েছেন ৫৪৯ জন। সড়ক দুর্ঘটনায় গড়ে প্রতিদিন অন্তত ১৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন। রোড সেফটি ফাউন্ডেশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায়। এতে বলা হয়, এর মধ্যে ২২৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২১৭ জন। মে মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে পথচারী ১৪৭ জন। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৮৬ জন। দুর্ঘটনায় নিহতের মধ্যে নারী ৮৩ জন ও শিশু ৬৬ জন। একই মাসে আটটি নৌ-দুর্ঘটনায় ৩৪ জন নিহত এবং ১৬ জন আহত হয়েছেন। পাঁচটি রেলপথ দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন চার জন এবং আহত হয়েছেন এক জন।

দুর্ঘটনার বিভাগওয়ারি পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে। এ বিভাগে ১১৫টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৪৪ জন। সবচেয়ে কম দুর্ঘটনা ঘটেছে ময়মনসিংহ বিভাগে। ২৬টি দুর্ঘটনায় নিহত ২৭ জন। একক জেলা হিসেবে চট্টগ্রাম জেলায় সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে। ৩২টি দুর্ঘটনায় ৪১ জন নিহত হয়েছেন। সবচেয়ে কম দুর্ঘটনা পঞ্চগড় জেলায়। এ জেলায় তিনটি দুর্ঘটনা ঘটলেও কেউ হতাহত হয়নি।

ফাউন্ডেশন জানায়, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ১৭৯টি জাতীয় মহাসড়কে, ১৫৮টি আঞ্চলিক সড়কে এবং ৬৩টি গ্রামীণ সড়কে হয়েছে। এর মধ্যে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে ১৬৯টি। দুর্ঘটনার জন্য দায়ী যানবাহনের মধ্যে ট্রাক-কাভার্ডভ্যান-পিকআপ ২৬.০৭ শতাংশ, মোটরসাইকেল ৩০.৬৩ শতাংশ এবং থ্রি-হুইলার (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান-টেম্পো-মিশুক-স্কুটার) ১৮.৩৮ শতাংশ। সময় বিশ্লেষণে দেখা যায়, দুর্ঘটনাগুলোর বেশির ভাগ ঘটেছে সকালে। এ সময় ৩১ শতাংশের বেশি দুর্ঘটনা ঘটে। দুপুরে প্রায় ১৮.৫৯ শতাংশ এবং বিকালে ২১ শতাংশের কিছু বেশি। সড়ক দুর্ঘটনার ১০টি কারণ তুলে ধরে ফাউন্ডেশন। এগুলোর মধ্যে ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, বেপরোয়া গতি, চালকদের অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা এবং বেতন কর্ম ঘণ্টা নির্দিষ্ট না থাকা উল্লেখযোগ্য ।

দুর্ঘটনা এড়াতে ১০টি সুপারিশও করা হয়। এ সবের মধ্যে দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ বৃদ্ধি, চালকদের বেতন-কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করা, বিআরটিএর সক্ষমতা বৃদ্ধি, পরিবহন মালিক-শ্রমিক, যাত্রী ও পথচারীদের প্রতি ট্রাফিক আইনের বাধাহীন প্রয়োগ নিশ্চিত করার ওপর জোর দেওয়া হয় ।

Share this post

scroll to top