জামালপুরে পাঁচজনসহ চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নেত্রকোনায় বজ্রপাতে একদিনেই নয়জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে তিন শিশু ও দু’জন নারী রয়েছে। শুক্রবার বিকেলে ঝড়-বৃষ্টির সময় এসব প্রাণহানি হয়।
জামালপুর
জামালপুরের তিন উপজেলায় শুক্রবার বজ্রপাতে দুই নারীসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে বকশীগঞ্জে এক নারীসহ তিনজন, দেওয়ানগঞ্জে এক রাজমিস্ত্রী ও সরিষাবাড়ীতে এক নারী রয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার উত্তর মাইছানিরচর গ্রামের কালা মিয়ার ছেলে খলিলুর রহমান (৫৫) বিকেলে বৃষ্টির সময় ব্রহ্মপুত্র নদে গোসল করতে যান। এ সময় বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
ক্ষেত থেকে ধান নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে বজ্রপাতে মারা যায় একই উপজেলার পূর্ব কলকীহারা গ্রামের মহিজল হকের ছেলে হরবাদশা (৪৫)।
এছাড়াও বৃষ্টির সময় একই গ্রামের আবদুল খালেকের স্ত্রী আকিজা বেগম (৩৫) বাড়ির পাশে শুকাতে দেয়া খড় আনতে গেলে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
অপরদিকে একই উপজেলার মাদারেরচর গ্রামের বুদু মিয়ার দুটি গরু বজ্রপাতে মারা যায়।
বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুন মুন জাহান লিজা বজ্রপাতে নারীসহ তিনজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে সন্ধ্যায় জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার গামারিয়ায়া গ্রামের আবেল মিয়ার ছেলে আনা মিয়া (১৫) রাজমিস্ত্রীর কাজ শেষে বাড়ি ফেরার সময় চিকাজানী দিঘীরপাড় এলাকায় বজ্রপাতে মারা যান। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেওয়ানগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাব্বত কবীর।
এ ছাড়াও জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলার ভাটারা ইউনিয়নের কটুরিয়া গ্রামের মোজাম্মেলের স্ত্রী আঙ্গুরী বেগম (৪৫) সন্ধ্যায় বাড়ির আঙ্গিনায় কাজ করার সময় বজ্রপাতে গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎহসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার মায়মা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর উপজেলায় বজ্রপাতে মা-ছেলেসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছেন। শুক্রবার বিকেলে সদর উপজেলার সুন্দরপুর ও চরবাগডাঙা ইউনিয়নে এ দুর্ঘটনা হয়।
মৃতরা হলেন সদর উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নের পাঁচরশিয়া গ্রামের রানা আলীর স্ত্রী এ্যানি বেগম (২৬) ও তার ছেলে নূর মোহাম্মদ (৬)। অপরজন একই উপজেলার চরবাগডাঙা ইউনিয়নের বাখর আলী গ্রামের আবদুল মতিনের ছেলে ইয়ামিন আরাফাত (১০)।
বিকেলে ঝড়ের মধ্যে বাড়ির পাশে আম কুড়াতে যান মা-ছেলে। এ সময় হঠাৎ বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই তারা মারা যান বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
অন্য দিকে, চরবাগডাঙায় বৃষ্টির সময় বাগানে আম কুড়াতে গিয়ে বজ্রপাতে ইয়ামিন আরাফাত মারা যান।
নেত্রকোনা
নেত্রকোনার পূর্বধলায় বজ্রপাতে আশা মনি (৭) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ওমর ফারুক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে বৃষ্টিপাত শুরু হলে আশা মনি বাড়ির পাশের পুকুর পাড় থেকে গরু আনতে যায়। এ সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়।