আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়ের কৃতিত্ব নেই গত ৪২ বছরে। সর্বশেষ দুই ম্যাচে আফগানদের বিরুদ্ধে লাল-সবুজ জার্সিধারীদের হার ০-৪ ও ০-১ গোলে। ২০১৯ সালে তাদের কাছে হেরেই বাংলাদেশের ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের বাছাই পর্ব শুরু হয়।
তবে বৃহস্পতিবার র্যাংকিংয়ে ৩৫ ধাপ এগিয়ে থাকা দলটির বিরুদ্ধে কাতারের দোহার জসিম বিন হামাদ স্টেডিয়ামে সমানে-সমান লড়েছেন জামাল ভূঁইয়ারা। কোচ জেমি ডের শিষ্যরা যেনো ভুলেই দিয়েছিলেন দুই দলের মাঝে বিপুল ব্যবধানের কথা। পিছিয়ে পড়েও খেলা ১-১ এ ড্র করেন তারা।
আফগান কাহিনী এখন অতীত। বাংলাদেশের সামনে রয়েছে এখন ভারত মিশন। ৭ জুন দোহাতে ভারতের বিপক্ষে ২০০৩ সাফ চ্যাম্পিয়নদের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের পরে হোম ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। সাবেক সাফ চ্যাম্পিয়ন আফগানিস্তানকে ঠেকিয়ে এখন ভারতকে হারানোর আত্মবিশ্বাসে উজ্জ্বীবিত বাংলাদেশ ফুটবল দলের প্রতিটি সদস্যের মনেই।
আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ শেষে এমনই প্রত্যয় শোনা গেলো তপু বর্মনের মুখে। এদিকে ‘ই’ গ্রুপের অপর ম্যাচে কাতারের কাছে ০-১ গোলে হেরেছে ভারত।
তপু বর্মন বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য ছিল আফগানদের হারানো। জিতলে ভালো লাগতো। এরপরও খুশি ম্যাচটি ড্র করায়। এখন আমরা পরের ম্যাচে ভারতকে হারাতে চাই।’
অবশ্য ভারতকে হারানোর কথা বলছেন না কোচ জেমি ডে। তার মতে, ভারত র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে।
তিনি বলেন, ইংল্যান্ড ও ভারতের মধ্যে র্যাংকিংয়ে তফাৎ বিস্তর। ভারতের পক্ষে কি ইংল্যান্ডকে হারানো সম্ভব?
আফগানদের বিপক্ষে ড্র করার বিষয়ে উল্লেখ করে জেমি বলেন, এটি দলীয় সমন্বয়ের ফসল। তবে শেষ দিকে আফগানরা ক্লান্ত হয়ে পড়ায় আমরা সুযোগ তৈরি করি।’
তিনি বলেন, ‘বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়ার ছাড়া আমরা এই ম্যাচ খেলেছি। বিকল্প ফুটবলাররাও ভালো করেছে। এই অভিজ্ঞতাই ভারতের বিপক্ষে পরের ম্যাচে কাজে লাগাতে চাই।’
তপু বলেন, ‘আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে আমরা টিম হিসেবে খেলেছি। সবাই ইতিবাচক ছিল। এই ধারাতেই আমরা ভারতের সাথে খেলে জিততে চাই।’
২০১৯ সালে ভারতের মাঠে অ্যাওয়ে ম্যাচে বাংলাদেশ ১-১ এ ড্র করেছিল আকাশি জার্সিধারীদের সাথে।