ঝগড়া মিটিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বন্ধুত্ব গড়তে চাচ্ছে চীন। নিজেদের মধ্যে ব্যবসা সংক্রান্ত জটিলতা মীমাংসায় চীনা প্রেসিডেন্ট এ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চাইছেন।
দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা সংক্রান্ত অমীমাংসিত বিষয়গুলো নিয়ে ওয়াশিংটনে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের মধ্যে এ বিষয়ে বৈঠক চলছে। এরই মধ্যে গত বৃহস্পতিবার ডোনাল্ড ট্রাম্পকে চিঠি পাঠিয়ে এ বার্তা দেন শি জিনপিং।
ওই চিঠিতে বলা হয়, দুই দেশের সম্পর্ক এখন গুরুত্বপূর্ণ এক সন্ধিক্ষণে অবস্থান করছে। এ অবস্থায় যত শীঘ্র সম্ভব চুক্তিগুলো সম্পন্ন করা গেলে বিশ্ববাসীর কাছে একটি ইতিবাচক বার্তা পৌঁছানো যাবে। চিঠিটি পৌঁছে দিয়ে চীনা প্রতিনিধিরা জানান, এ চিঠি পেয়ে খুশি হয়েছেন ট্রাম্প।
বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সাথে বৈঠকের সময় চীনের প্রতিনিধি দলের একজন সদস্য চিঠিটি পড়ে শোনান। চিঠিতে চীনা প্রতিনিধি দলের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনা ফলপ্রসূ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে জিনপিং বলেন, গত ডিসেম্বরে বৈঠকে আলোচনা দুই পক্ষে যে আলোচনা হয়েছিল, তার আলোকেই চুক্তি হবে। যুক্তরাষ্ট্রের কিছু দাবি পূরণ করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা কামনা করেন।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে মেধাসত্ত্ব চুরি ও গোয়েন্দাগিরির অভিযোগ এনে ট্রাম্প চীনা পণ্যের ওপর শুল্কের পরিমাণ আরো বাড়িয়ে দেন। চীনা মার্কিন পণ্যে শুল্কারোপ করে তার জবাব দেয়। তবে গত ডিসেম্বরে দুই দেশ সাময়িক সময়ের জন্য নিজেদের এ বাণিজ্যযুদ্ধ বন্ধ রাখতে সম্মত হয়। তবে চীন যদি যুক্তরাষ্ট্রের শর্ত পূর্ণ না করে, তাহলে আগামী মার্চ থেকে আরো কঠিনভাবে শুল্ক আরোপ করা হবে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন ট্রাম্প।