৬ মাসের সাজার ভয়ে ৩২ বছর পালিয়ে!

tangileআদালত থেকে মাত্র ৬ মাস জেল হাজতের দণ্ডাদেশ পাওয়ার পরে আত্মগোপন করে খোরশেদ আলী নামের এক ব্যক্তি। অবশেষে দীর্ঘ ৩২ বছর পর সাজাপ্রাপ্ত খোরশেদ আলমকে(৫৬) আটক করেছে চিলমারী থানার পুলিশ।

দীর্ঘ ৩২ বছর পর টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর উপজেলা থেকে তাকে আটক করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে শোধ করতে না পারায় মামলা হয় খোরশেদ আলমের বিরুদ্ধে। সেই মামলায় আদালত তাকে ৬ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করে।মামলা হওয়ার পর থেকেই পলাতক ছিলেন তিনি। তার অনুপস্থিতিতে বিচারের রায় দেয় আদালত। আদালতের রায়ের পর নিরুদ্দেশ হন তিনি।

খোরশেদ আলম চিলমারী উপজেলার পুটিমারী কাজল ডাঙ্গা(মন্ডল পাড়া) গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নানের পুত্র।

চিলমারী থানা সূত্রে জানা গেছে ,সিআর মামলা ৫৮/৮৭ (চিলমারী) ধারাঃ ৪০৬ পেনাল কোড এর বিচার শেষে গত ১৯৮৯ সালের অক্টোবর মাসের ২০ তারিখে বিজ্ঞ আদালতের বিচারক মোঃ নুরুল ইসলাম আসামি খোরশেদ আলীর পলাতক থাকা অবস্থায় তাকে ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।

পরবর্তীতে আসামি গাজীপুর বাইপাইল এলাকায় রিকশা গ্যারেজ দিয়ে সেখানেই পরিবার নিয়ে জীবন কাটাচ্ছিলেন। সর্বশেষ তিনি পেশা বদল করে টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর উপজেলার বেইড়বাধ ইউনিয়নে জলছত্র বাজারে চায়ের দোকান করে আত্মগোপনে ছিলেন।

গোপন সংবাদ এর ভিত্তিতে চিলমারী থানা পুলিশের একটি চৌকশ দল গত শনিবার (২৯ মে) টাঙ্গাইলের উদেশ্যে রওনা দেন। তারা সাজাপ্রাপ্ত ওই আসামির অবস্থান নিশ্চিত হয়ে স্থানীয় পুলিশের সহযোগিতায় খোরশেদ আলমকে আটক করে চিলমারী নিয়ে আসে।

পরে গতকাল সোমবার (৩১মে) আসামিকে আদালতে প্রেরণ করা হলে বিচারক তাকে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চিলমারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো.আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ৬ মাসের সাজা প্রাপ্ত পলাতক আসামিকে ৩২ বছর পর টাঙ্গাইল জেলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার ওই আসামিকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্ররণ করা হয়েছে।

Share this post

scroll to top